দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। বাজারে পর্যাপ্ত পণ্য থাকলেও দাম কমানো যাচ্ছে না। আর এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে সিন্ডিকেটকে। সেই সিন্ডিকেট ভেঙে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি পণ্য বিক্রির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা এই ‘জনতার বাজার’ চালু করেছেন।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে নাটোর স্বার্থ রক্ষা কমিটির উদ্যোগে শহরের কানাইখালী পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই বাজার চালু করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, জনতার বাজার কর্মসূচি সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় ও সবজি পণ্যের পসরা সাজিয়ে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন। সকাল থেকেই পথচারী ও স্থানীয়রা শিক্ষার্থীদের থেকে পণ্য ক্রয় করছেন।
জনতার বাজারে চাল, ডিম, আলু, কচু, বেগুন, লাউ, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, শসা, ডিম, শাক বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে চাল প্রতি কেজি ৪৫ টাকা, ডিম প্রতি হালি ৪৯, আলু প্রতি কেজি ৫৪ টাকা, পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১৩০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রফিকুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, “জিনিসপত্রের অতিরিক্ত দামের কারণে মানুষের জন্য বর্তমানে বাজার করা খুব কঠিন হয়ে গেছে। এই জনতার বাজারে সবকিছুরই দাম কম। শিক্ষার্থীদের এ উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।”
দিনমজুর হযরত আলী বলেন, “রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। এখানে ন্যায্যমূল্যে চাল, ডাল, সবজি বিক্রি হচ্ছে দেখলাম। বাজারে যে দাম সে তুলনায় এখানে প্রতিটি পণ্য ৫ থেকে ১৫ টাকা দাম কম। এমন দামে সবজি ক্রয় করতে পারলে আমাদের ঘরের টানাপড়েন কিছুটা হলেও কমবে। যারা এমন মহান কাজ করছেন তাদের মন থেকে দোয়া করি।”
নাটোর স্বার্থ রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব শেখ রিফাদ মাহমুদ বলেন, “নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ‘জনতার বাজার’ কর্মসূচির মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে জনসাধারণের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী ও সবজি বিক্রি করা হচ্ছে। যেখানে সরাসরি কৃষকের থেকে পণ্য কিনে ভোক্তার কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে, মাঝে থাকছে না কোনো সিন্ডিকেট। এতে সাধারণ জনগণের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।”
কমিটির আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল নোমান পিয়াস বলেন, “সপ্তাহে তিন দিন বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার জনতার বাজার কার্যক্রম চলবে। ভবিষ্যতে আমরা মাছ, মাংসসহ আরও পণ্য বাড়াব।”