ফরিদপুরে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য চালু করা হয়েছে জনতার বাজার। এই বাজার থেকে সব ধরনের সবজি কম মূল্যে ক্রয় করতে পারবেন নিম্ন আয়ের মানুষ। সপ্তাহে ২ দিন এই বাজার চালু থাকবে। পরবর্তীতে ৭ দিনই বাজার চালু রাখার কথা জানিয়েছে আয়োজকরা।
ন্যায্যমূল্যে কৃষকের মাঠ থেকে তরতাজা সবজি সরাসরি ভোক্তার হাতে পৌঁছাতে ‘জনতার বাজার’ নামে সবজির বাজার চালু করা হয়েছে।
শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে ফরিদপুর শহরের ডায়াবেটিক হাসপাতালসংলগ্ন এলাকায় অস্থায়ীভাবে এই বাজারের উদ্বোধন করা হয়।
কনজ্যুমার ভয়েস বাংলাদেশ নামক একটি সংগঠনের আয়োজনে এই বাজার চালু করা হয়েছে। সপ্তাহের দুই দিন শনিবার ও বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজি বিক্রি করা হবে। উদ্বোধনী দিনে আলু, পেঁয়াজ, বেগুন, রসুন, মরিচ, লাউসহ বিভিন্ন সবজি বাজার থেকে কম মূল্যে বিক্রি করা হয়।
বাজারে পেঁয়াজ ১২৫ টাকা কেজি হলেও এখানে বিক্রি করা হয় ১০৫ টাকায়, আলু বিক্রি করা হয় ৫৫ টাকা কেজি দরে, বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা। আদা ১১০ টাকা কেজি, রসুন ২৩০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, মুলা ৩৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়।
এ ছাড়া সকল ধরনের সবজি বাজার থেকে কেজি প্রতি ১০-২০ টাকা কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এই বাজারে কম দামে সবজি কিনে খুশি ক্রেতারা। তবে তাদের দাবি সবজির পাশাপাশি ডিমসহ অন্যান্য সামগ্রীও বিক্রি করা হোক।
সবজি কিনতে আসা ক্রেতা রাশেদা বেগম বলেন, “এ ধরনের বাজার চালু করায় আমরা খুশি। প্রথম দিনেই এসে দেখছি সকল সবজি এই বাজারে কম মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। বাজারে পেঁয়াজ ১২৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, এখান থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে কিনেছি। এ ছাড়া আলু কিনেছি ৫৫ টাকা কেজি দরে।”
আরেক ক্রেতা সাব্বির হোসেন বলেন, “সবজির পাশাপাশি এই বাজারে ডিম, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রি করলে আমরা আরও উপকৃত হতাম। আয়োজকদের কাছে দাবি জানাই, সবজির পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য যাতে বিক্রি করেন তারা।”
কনজ্যুমার ভয়েস বাংলাদেশের সভাপতি মোস্তফা আমির ফয়সাল বলেন, “বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এই বাজার চালু করা হয়েছে। সপ্তাহে দুই দিন এই বাজার চালু থাকবে, পরবর্তীতে ৭ দিনই চালু রাখার ব্যবস্থা করা হবে।”
মোস্তফা আমির ফয়সাল আরও বলেন, “সবজির পাশাপাশি অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীও বিক্রি করা হবে। জেলা প্রশাসক স্যারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আমাদের একটি উন্মুক্ত জায়গার ব্যবস্থা করে দিলে আমরা বৃহৎ পরিসরে বাজার বসাতে পারব। তখন আরও বেশি মানুষ এখান থেকে বাজার করতে পারবেন।”