গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে ‘কথা বলা’ গাছ দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছে শতাধিক মানুষ। এক সপ্তাহ আগে গাছের কথা বলার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে উপজেলার রাঘদি ইউনিয়নের গর্জিনা গ্রামে। এরপর থেকে ‘অলৌকিক ঘটনা’ দেখার আশায় সেখানে ভিড় বাড়ছে। যদিও এটি জিনের কাণ্ড হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম।
স্থানীয়ে লোকজন জানান, গর্জিনা গ্রামে সৌদিপ্রবাসী সবুর মিয়ার একটি গাছের বাগান আছে। গত ১৪ জুন ওই বাগানের একটি লম্বুগাছ কাটতে যায় জুয়েল মোল্লার ছেলে নিরবসহ (১০) কয়েকজন শিশু। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে গাছটি নাকি কথা বলে ওঠে।
এ সময় শিশুরা ভয় পেয়ে বাড়ি ফিরে যায়। পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানার পর গাছটি দেখতে যায়। তারা গাছের গায়ে কান পেতে আওয়াজ শুনতে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
এর পর থেকে গাছের কথা বলার বিষয়টি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কেউ কেউ মানতও শুরু করেন। অভিযোগ উঠেছে, কিছু মিডিয়া ও ইউটিউবাররা বিষয়টি সত্য প্রমাণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। লোকজনও চাঞ্চল্যকর খবরটি সত্য ভেবে নিচ্ছে। এরপর গর্জিনা গ্রামে গাছটি দেখতে ছুটে যাচ্ছে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, বরিশাল, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানের মানুষ।
স্থানীয় রাঘদি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সাদ্দাম হোসেন, একই গ্রামের লিয়াকত হোসেন, টেকেরহাটের সোহেল মাতুব্বর, গর্জিনা গ্রামের ফরিদ মোল্লাসহ অনেকেই গাছের গায়ে কান পেতে কথা শোনার চেষ্টা করেছেন। এই তালিকায় রয়েছে শিশুরাও। যদিও অনেক দর্শনার্থী গাছের কথা শুনতে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
এদিকে কথা বলা গাছ দেখতে মানুষের ভিড় বাড়লে একটি মহল গাছটির চারপাশে বাঁশ দিয়ে বেঁধে দেয়। পরে এটি ব্যবসার চক্রান্ত উল্লেখ করে সেই সব বাঁশ ভেঙে দেয় কিছু স্থানীয় যুবক। অপর দিকে গাছের গায়ে গোবর লেপার কারণে এক নারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলেও দাবি করেছে স্থানীয়রা।
স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ বাদশা বলেন, ইসলাম এ ধরনের ঘটনা সমর্থন করে না। তবে জিনকে গাছের মধ্যে আটকে রাখলে এমন হতে পারে।