দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে। শীতের তীব্র দাপট ও হিমেল বাতাসে ব্যাহত হয়ে পড়েছে জনজীবন। কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
রোববার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র।
দিনের বেলা সূর্যের উত্তাপ না থাকায় হিমেল বাতাসে অসহনীয় ঠান্ডা অনুভুত হচ্ছে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত। ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে সমগ্র জেলা।
এদিকে এই তীব্র শীতের কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে জেলার ওপর প্রবাহিত ১৬টি নদ-নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলের দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের। চরাঞ্চলের শীতার্তরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন।
আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে হাসপাতালগুলোতে বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যাই বেশি।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের কৃষি শ্রমিক নুরুল হক বলেন, “সকালে এত পরিমাণ ঠান্ডা কাজ করা যায় না। পরে অবশ্য ঠান্ডা একটু কমে। আবার সন্ধ্যা থেকে খুব শীত লাগে।”
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, “আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে। তবে আগামী ২-১দিনের মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরে আবারও তাপমাত্রা নিম্নগামী হতে পারে।”