• ঢাকা
  • শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৬

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিরকুট, লেখা ‘পাগলা চাচা, শেখ হাসিনা কোথায়’


কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২৫, ০১:০২ পিএম
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিরকুট, লেখা ‘পাগলা চাচা, শেখ হাসিনা কোথায়’
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিরকুট। ছবি : সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছে। দানবাক্সে এবার পাওয়া গেছে ২৮ বস্তা টাকা। এ ছাড়াও দানবাক্সে পাওয়া গেছে কয়েকটি চিরকুট। এর একটিতে লেখা ছিল ‘পাগলা চাচা, শেখ হাসিনা কোথায়’।

শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৭টায় পাগলা মসজিদে ৯টি দানবাক্স ও ২টি ট্রাঙ্ক খোলা হয়।

দানবাক্সে টাকা ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কারের সঙ্গে চিরকুটটি পাওয়া গেছে। সেখানে নাম পরিচয়হীন অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে বাক্যটি লেখেন। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে টাকার সঙ্গে মনোবাসনা পূরণের আকাঙ্ক্ষায় এমন চিঠি পাওয়া যায় প্রতিবারই।

এর আগে গত বছরের ১৭ আগস্ট দানবাক্সে দেওয়া টাকার সঙ্গে বেশ কিছু চিঠি পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি চিঠিতে নাম-পরিচয়হীন একজন লিখেছিলেন- ‘আল্লাহ শেখ হাসিনাকে তুমি তার বাবার কাছে পাঠিয়ে দাও, আমিন।’ তখন ওই চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার হয়েছিল।

এর আগে সকাল ৭টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক জেসমিন আক্তারের তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

জেলা শহরের ঐতিহাসিক মসজিদটিতে রয়েছে ১০টি দানবাক্স ও ১টি ট্রাঙ্ক। যেগুলো সাধারণত তিন মাস পরপর খোলা হয়। এবার খোলা হয়েছে ৪ মাস ১১ দিন পর।

পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকাল ৭টার দিকে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে ১০টি দানবাক্স ও ১টি ট্রাঙ্ক খোলা হয়। এসব দানবাক্সে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। গণনা শেষে মোট টাকার পরিমাণ জানা যাবে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী জানান, কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়। টাকা গণনা শেষে ব্যাংকে পৌঁছে দেয়া পর্যন্ত পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।

টাকা গণনার কাজে জেলা প্রশাসনের কর্মী ছাড়াও আছেন মাদ্রাসার ২৮৫ ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ কর্মী, মসজিদ কমিটির ৩৪ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ সদস্য।

দানবাক্স খোলার পর গণনা দেখতে মসজিদের আশপাশে ভিড় করেন উৎসুক জনতা। তাদের মধ্যে অনেকে আসেন দূরদূরান্ত থেকে।

এর আগে ২০২৪ সালের ৩০ নভেম্বর সকালে মসজিদটির ১১টি দানবাক্স খুলে ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। সে সময় গণনা শেষে টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা। এ ছাড়া পাওয়া যায় বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপা। তখন তিন মাস ১৩ দিনে দানবাক্সে পাওয়া গিয়েছিল রেকর্ড পরিমাণ এই অর্থ।

Link copied!