ক্লাবঘর-বারান্দায় রাত কাটাচ্ছেন শত শত পর্যটক


রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২১, ২০২৪, ০৪:৪১ পিএম
ক্লাবঘর-বারান্দায় রাত কাটাচ্ছেন শত শত পর্যটক
সাজেক। ছবি: সংগৃহীত

শীত মৌসুমে পর্যটনের ধুম লেগে যায় সারা দেশে। বিশেষ করে পার্বত্য এলাকা ও সাগর উপকূলে পর্যটকদের ঢল নামে। এবারের শীত মৌসুমেও ব্যতিক্রম হয়নি। দক্ষিণাঞ্চলের উপকূল থেকে শুরু করে কক্সাবাজার, সেন্ট মার্টিন ও পার্বত্য তিন জেলাজুড়ে পর্যটনস্পটগুলোতে ভিড় লেগেছে।

তবে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন শত শত পর্যটক। সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে (রুইলুই ভ্যালি) কক্ষ না পেয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে পর্যটকদের। শীতের রাত পার করতে হয়েছে কষ্ট করে।

স্থানীয় সূত্র ও পর্যটকেরা বলছেন, সাজেকের যতগুলো রিসোর্ট-কটেজ রয়েছে সেগুলোর সব কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। ফলে কোথাও সিট না পেয়ে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে তিন শতাধিক পর্যটককে স্থানীয় ক্লাবঘর, বারান্দা, মসজিদ, স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িঘরে রাত কাটাতে হয়েছে।

এমনকি শনিবারও (২১ ডিসেম্বর) রিসোর্ট-কটেজের সব কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে আছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, যারা সিট পাচ্ছেন না তাদের ভ্রমণের আনন্দ অনেকটা মাটি হয়ে যাচ্ছে। অনেকে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

সাজেক হিল ভিউ রিসোর্টের মালিক ইন্দ্রজিৎ চাকমা সাংবাদিকদের জানান, চলতি মৌসুমে শুক্রবার রাতে সাজেকে সর্বোচ্চ পর্যটক এসেছেন। কক্ষ বুকিং না নিয়েই অন্তত চার শতাধিক পর্যটক বেড়াতে আসেন। ফলে তাদের জন্য সিটের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি।

তথ্যমতে, সাজেক পর্যটনকেন্দ্রের ১১৫টি রিসোর্ট-কটেজে প্রায় চার হাজার ২০০ পর্যটকের থাকার ব্যবস্থা আছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালেই সব কক্ষ বুকিং হয়ে যায়। কিন্তু শুক্রবার সকালে-বিকেলে কক্ষ বুকিং না করেই অন্তত চার শতাধিক পর্যটক সাজেকে বেড়াতে আসেন।

অতিরিক্ত আসা পর্যটকদের কক্ষ না পেয়ে অনেকে ফিরে চলে যান। আর সাজেকের অনিন্দ সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার জন্য তিন শতাধিক পর্যটক রাতে অনেকটা চ্যালেঞ্জ নিয়েই রয়ে যান। পরে সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতা নিয়ে তাদের রিসোর্ট-কটেজের বারান্দা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্টোরকক্ষ ও ক্লাবঘরে রাত কাটানোর ব্যবস্থা করা হয়।

পর্যটন ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্যমতে, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে সাজেকে পর্যটক আসতে শুরু করেন। সাপ্তাহিক ও বিশেষ ছুটির দিনগুলোতে রিসোর্ট-কটেজের সব কক্ষ ভাড়া হয়ে যাচ্ছে। গত ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর ছুটির দিনেও সব ভাড়া হয়ে যায়। এ ছাড়া বিজয় দিবসের ছুটিতেও সব কক্ষ ভাড়া হয়ে যায়। 

Link copied!