• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

এক স্ত্রী চলে গেছেন, দুজনকে তালাক দিতে চাপে ৭ বিয়ে করা রবিজুল


কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২৪, ০১:০৬ পিএম
এক স্ত্রী চলে গেছেন, দুজনকে তালাক দিতে চাপে ৭ বিয়ে করা রবিজুল

কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার রবিজুল ইসলাম একে একে সাত বিয়ে করে হঠাৎই আলোচনায় আসেন। তার এই বিয়ে নিয়ে দেশের গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তারপর থেকে বেশ বিপাকে আছেন ৪০ বছর বয়সী এই যুবক। এরই মধ্যে তার ষষ্ঠ স্ত্রী তাকে তালাক দিয়ে চলে গেছেন। এদিকে গ্রামের ২২ প্রধান একসঙ্গে হয়ে ইসলামি শরিয়ত মানাতে দুজন স্ত্রীকে তালাক দিতে তাকে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

শনিবার (৮ জুন) সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের পাটিকাবাড়ি বাজারে ২২ গ্রামপ্রধানের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে গ্রামের ২২ প্রধান এক হয়ে পাটিকাবাড়ি বাজারে বৈঠক ডাকেন। সেখানে রবিজুল ইসলামকে ডেকে আনেন তারা। বৈঠকে প্রধানের ভূমিকা পালন করেন স্থানীয় মাতবর নাজিম মণ্ডল।

বৈঠকে শরিয়ত মোতাবেক চারের অধিক স্ত্রী রাখার বিধান না থাকার ইসলামি ব্যাখ্যা দেন মুহতামিম হাফেজ ম. মুফতি আলমগীর হোসাইন।

রবিজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, “গ্রামের ২২ প্রধান নিজেরাই এক হয়ে সামাজিক বৈঠক ডেকে আমাকে উপস্থিত হতে বলে। আমি তাদের বলেছিলাম, এ জন্য আমার সময় প্রয়োজন। কিন্তু তারা আমার কথা না মেনে তাদের নিজেদের মতো করে আমার দুই স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার জন্য জোর করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেয়। সালিসের পর তারা আমার দুই স্ত্রীকে গ্রাম থেকে বের করে দিয়েছে। আমাকে এবং আমার মামাকে লাঞ্ছিত করেছে। আমি এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

অভিযোগের বিষয়ে বৈঠকের প্রধান নাজিম মণ্ডল বলেন, “ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক চার স্ত্রীর বেশি রাখার বিধান নেই। সামাজিকভাবে বসে আমরা তাকে সেটাই বোঝাতে চেয়েছিলাম।”

স্ত্রীদের তালাক দিতে বাধ্য করতে পারেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “রবিজুল তার দুই স্ত্রীকে তালাক দেবেন বলে নিজেই অঙ্গীকার করেছেন। আমরা তাকে বাধ্য করিনি, তাকে মারধরও করিনি।”

কুষ্টিয়া জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী বলেন, সামাজিক বৈঠকে চাপ দিয়ে কাউকে তালাক দিতে বাধ্য করানো আইনের চোখে অপরাধ।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পার্থ প্রতিম শীল জানান, দুই পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে সেটা ভিন্ন। কিন্তু জোর–জবরদস্তির কোনো সুযোগ নেই।

Link copied!