• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

বদলি হওয়ায় থানা থেকে আসবাবপত্র-এসি-টিভি খুলে নিলেন ওসি


চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২৪, ০৩:৩৪ পিএম
বদলি হওয়ায় থানা থেকে আসবাবপত্র-এসি-টিভি খুলে নিলেন ওসি

বদলি হওয়ার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার নিজ কক্ষ থেকে আসবাবপত্র, এসি ও টিভি খুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওসি মিন্টু রহমানের বিরুদ্ধে। তবে আসবাবপত্রগুলো তার ব্যক্তিগতভাবে কেনা বলে দাবি করেছেন ওসি মিন্টু।

থানা সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বদলিজনিত কারণে থানা ছেড়ে যাওয়ার সময় নিজ কক্ষে ব্যবহৃত ১০টি চেয়ার, একটি ফাইল ক্যাবিনেট ও ৫৬ ইঞ্চির একটি এলইডি টিভি নিয়ে যান ওসি মিন্টু রহমান। গত বছরের ৯ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানা থেকে বদলি হয়ে সদর মডেল থানায় যোগদান করেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি পুলিশের এক সংক্ষিপ্ত আদেশে সিলেট রেঞ্জে বদলি করা হয় মিন্টু রহমানকে। চলে যাওয়ার সময় থানার ওসির কক্ষের আসবাবপত্র নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

সদর থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য জানান, থানায় আগতদের বসার জন্য এক ব্যবসায়ী ১০টি চেয়ার দিয়েছিলেন। একইভাবে এলইডি টিভিটিও দিয়েছেন আরেক ব্যবসায়ী। কিন্তু সিলেটে যাওয়ার আগে ওসি মিন্টু রহমান এসব জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে গেছেন। ওসির ঘরে লাগানো একটি এসি খুলেও সঙ্গে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ওই এসির গায়ে দাতা প্রতিষ্ঠান রনি কম্পিউটার্সের নাম লেখা থাকার কারণে সেটা নেননি ওসি মিন্টু।

এ দিকে গণমাধ্যমের কাছে চেয়ার, ফাইল কেবিনেট ও টিলি খুলে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ওসি মিন্টু রহমান। তিনি বলেন, “ওইসব জিনিসপত্র আমারই কেনা ছিল। তাই আমি খুলে নিয়ে এসেছি। এমনিতেই আমি খুব ক্ষতিগ্রস্ত। না হলে জিনিসপত্র রেখে আসতাম।”

এ সময় খুলে নিয়ে যাওয়া জিনিসপত্রগুলো বিভিন্ন জনের অনুদান হিসেবে দেওয়ার প্রসঙ্গে কথা বলতে চাননি ওসি মিন্টু।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার নতুন ওসি মেহেদি হাসান বলেন, “থানায় যোগদানের পর সরকারি চেয়ার-টেবিল পেয়েছি। আগে কী হয়েছে আমার জানা নেই।”

এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ বলেন, “থানায় সরকারিভাবে টিভি, এসি দেওয়া হয় না। এগুলো ব্যক্তিগতভাবে সংগ্রহ করেন ওসিরা। কেউ নিয়ে গেলে কিছু বলার থাকে না।”

Link copied!