কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিরাপত্তার দাবিতে নার্সরা তিন ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করেছে।
বুধবার (১৫ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন সেবাগ্রহিতারা।
নার্সরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের ক্লিনার মো. রিপন নার্সদের সঙ্গে অশালিন কথা বার্তা ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করে আসছেন। এছাড়া মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) রাতে রিপন দলবল নিয়ে শিশু বিভাগের কর্মরত নার্সদের লাঞ্চিত করেন এবং অশালিন ভাষায় কথা বলেন। দীর্ঘদিন ধরে এমনটা চলে আসায় নিরাপত্তাহীনতার অভাবে তারা এই প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করছেন।
কর্মবিরতীতে নেতৃত্ব দেওয়া শিশু ওয়ার্ডের ইনচার্জ কাকলী বেগম বলেন, “মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে ক্লিনার রিপন এসে আমাদের ৩ জন নার্সের কাছে চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চান। এক পর্যায়ে তিনি আমাদের তুইতুকারি করে ধর্ষণ করার হুমকি দেন। পরে আমরা পরিবারের লোকজনকে ডেকে নিয়ে বাড়িতে গেছি। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”
হাসপাতালের নার্সদের সুপাইরভাইজার শোভা বিশ্বাস বলেন, “এর আগেও অভিযুক্ত রিপন আমার নার্সদের সঙ্গে অশালীন কথা বার্তা বলেছিলেন। মঙ্গলবার রাতে তার ফোন দিয়ে নার্সদের ছবি তুলতেছিলেন। আমরা প্রতিবাদ করায় তিনি দলবল নিয়ে আমাদের নার্সদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।“
এ বিষয়ে ক্লিনার মো. রিপন বলেন, “আমি হাসপাতালের স্টাফ তারও স্টাফ। আমি বেসরকারি তারা সরকারি এতটুকু পার্থক্য। মঙ্গলবার রাতে আমার পরিচিত এক ভাইয়ের ৬ মাসের বাচ্চাকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। তারা ১৬ টাকার সরকারি ‘বারবিড’ ইনজেকশন সাপ্লাই নাই বলে ৫০০ টাকা নিয়ে বলেন বাইরে থেকে এনেছেন। এটির প্রতিবাদ করায় তারা উত্তেজিত হয়ে পড়েন।”
এ ব্যাপারে জানতে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শহিদুল্লাহ লিংকনকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, “আমি একটি মিটিং এ আছি। পরে কথা বলবো।”