দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ফেনীর সোনাগাজী উপকূলীয় অঞ্চলে শুক্রবার (১২ মে) সন্ধ্যার পর থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এছাড়া উপকূলে ৪ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান জানান, উপকূলে ৪নং বিপদ সংকেত দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজীর ঝুঁকিপূর্ণ ৪টি ইউনিয়নের আশ্রয় কেন্দ্রগুলো ইতোমধ্যে পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ৪৩টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র, মাঠে থাকবে ২ হাজার সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস ও স্কাউট সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে।
কামরুল হাসান আরও জানান, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
চরচান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মিলন বলেন, উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা আমার ইউনিয়ন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে দক্ষিণ চরচান্দিয়া, পূর্ব বড়ধলী ও জেলেপাড়াসহ ৫-৬টি গ্রাম তলিয়ে যায়। এসব এলাকার মানুষগুলো রাস্তায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
জেলেপাড়া মৎস্য আড়ৎদার সূর্য মহাজন জানান, ব্যবসায়ীদের দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে গভীর সমুদ্রে থাকা অধিকাংশ মাছধরা ট্রলার উপকূলে আশ্রয় নিয়েছে।
উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতির (সিপিপি) সহকারী পরিচালক মুনীর চৌধুরী জানান, মোখা মোকাবিলায় মাঠ মহড়াসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভার মাধ্যমে দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।