• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১, ৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছু নেই’


চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২৪, ০৬:৪৪ পিএম
‘পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছু নেই’

কয়েক দিনের টানা ভারি বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পানির কারণে বাংলাদেশে বন্যা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে নোয়াখালী, ফেনী, সিলেট, চট্টগ্রামসহ ১২টি জেলার বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ঘরবাড়ি ঢুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। তাদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীসহ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের ধুম ইউনিয়নের গোলকেরহাট এলাকার বাসিন্দা বৃদ্ধ মোহাম্মদ ইলিয়াসকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছিলেন স্বেচ্ছাসেবকরা।

এসময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, “বাড়ি-ঘর আসবাবপত্র সবকিছু আল্লাহর কাছে সঁপে দিয়ে কোনোমতে প্রাণ নিয়ে বেঁচে আসলাম। পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছু নেই। এখন আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে হবে।”

মোহাম্মদ ইলিয়াস আরও বলেন, “গতকাল (২২ আগস্ট) পানি বেশি ছিল না, তাই বাড়ি থেকে বের হইনি। আজ পুরো ঘর পানিতে ডুবে গেছে, আর থাকতে পারছি না। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্র চলে আসছি।”

একই ইউনিয়নের মোবারকঘোনা এলাকার ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক জামশেদ আলম বলেন, “জীবিকার একমাত্র অবলম্বন রিকশাটি স্রোতে ভেসে গেছে। ঘরের কিছু রক্ষা করা যায়নি। কোনোভাবে স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে আত্মীয় বাড়ি চলে যাচ্ছি।”

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ফেনী নদী তীরবর্তী মিরসরাইয়ের চারটি ইউনিয়ন আক্রান্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি করেরহাট ইউনিয়নের জয়পুর পূর্বজোয়ার, পশ্চিম জোয়ার, কাটাগাং, অলিনগর, হাবিলদারবাসা, ছত্ত্বরুয়া, হিঙ্গুলী ইউনিয়নের আজমনগর, গনকছড়া, মধ্যম আজমনগর, ধুম ইউনিয়নের শুক্রবার ইয়ারহাট, মোবারকঘোনা, শান্তিরহাট, নাহেরপুর, গোলকেরহাট, মৌলভীবাজার, মিনা বাজার, আনন্দ বাজার এলাকায় শত শত মানুষ আটকা পড়েছেন।

মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসক মাহফুজা জেরিন জানান, চারটি ইউনিয়নের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। সেখানে যাওয়ার অবস্থাও নেই। তারপরও আমরা ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।

Link copied!