জয়পুরহাটে চার দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি। এরই মধ্যে ঘন কুয়াশা আর হিম বাতাসের কারণে দিন দিন বাড়ছে শীতের তীব্রতা। প্রতিদিনই কমছে দিন ও রাতের তাপমাত্রা।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আজও দেখা মেলেনি সূর্যের।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সারা দিন সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি। ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে চারদিক। কোথাও কোথাও পড়ছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। দিনভর হালকা কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাসে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এতে বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, কৃষি শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষ।
ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক আমির হোসেন বলেন, “আমি অটোরিকশা চালাই। কিন্তু কনকনে ঠান্ডায় যাত্রীর সংখ্যা কমে গেছে। দিনে ঠান্ডা কম হলেও রাতে হাত-পা বাইরে রাখাই মুশকিল হয়ে পড়ে।”
কৃষিশ্রমিক বনিজ মিয়া বলেন, “জমিতে ধানের চারা তৈরির জন্য ধান ছিটাচ্ছি। কিন্তু এত ঠান্ডা যে কাদা পানিতে পা রাখা যাচ্ছে না। ঠান্ডার কারণে ঠিকমত কাজ করতে পারছি না। শীতের কাপড় কম থাকায় রাতে বউ বাচ্চাসহ শীত কষ্টে ভুগছি।”
দিনমজুর আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “গত চার দিন থেকে শীতের কারণে বাড়ি থেকে বের হতে মন চাচ্ছে না। এরপর জীবিকার তাগিদে বাইরে যেতে হচ্ছে।”
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা হামিদুল হক জানান, বৃহস্পতিবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।