• ঢাকা
  • বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩০, ১১ রমজান ১৪৪৬

‘সুন্দরবনের কান্না কেউ শুনছে না’


মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫, ০৩:৪৪ পিএম
‘সুন্দরবনের কান্না কেউ শুনছে না’
সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে মোংলায় আয়োজিত সমাবেশ। ছবি : প্রতিনিধি

লবণাক্ত পানি, বিষাক্ত বাতাস আর লাগামহীন শিল্পায়নের চাপে আজ সংকটাপন্ন সুন্দরবন। একসময় যে বন লাখো মানুষের জীবিকা আর প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার প্রতীক ছিল, তা আজ হুমকির মুখে। বনবিনাশী রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, অপরিকল্পিত শিল্পকারখানা, বিষ দিয়ে মাছ নিধন ও বনবিভাগের দুর্নীতির কারণে সুন্দরবনের কান্না যেন কেউ শুনছে না।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে মোংলায় আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘বাঁচাও সুন্দরবন’ শীর্ষক র‍্যালি শেষে পৌরসভা চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে সুন্দরবন রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মোংলা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধরিত্রী রক্ষায় আমরার (ধরা) সদস্য সচিব ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ককারী শরীফ জামিল বলেন, “জাতিসংঘের সুপারিশ থাকা সত্ত্বেও সুন্দরবনের সন্নিকটে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ অপরিকল্পিত শিল্পায়ন চলছে। এই ধ্বংসযজ্ঞ থামাতে না পারলে সুন্দরবন একদিন কেবল ইতিহাস হয়ে যাবে।”

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, সাবেক পৌর কাউন্সিলর এমরান হোসেন, সুন্দরবন জাদুঘরের পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, বাদাবন সংঘের নাজমিন, ওয়াইল্ড টিমের সাইফুল ইসলাম, পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের কমলা সরকারসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও স্থানীয়রা।

বক্তারা বলেন, “সুন্দরবনের নদী-খালে বিষ প্রয়োগে মাছ ধরা, বৃক্ষনিধন, বন্যপ্রাণী শিকার এবং বনবিভাগের দুর্নীতি বেড়ে যাওয়ায় বনজীবীদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এসব বন্ধ করতে না পারলে দেশের অন্যতম প্রধান প্রাকৃতিক রক্ষা প্রাচীর ধ্বংস হয়ে যাবে।”

সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল শিশু চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, বাঘের মহড়া ও ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা।

Link copied!