রংপুরের তারাগঞ্জে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ দুর্ঘটনায় চালকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে।
তারাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ জানায়, রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের পাকার পুল এলাকায় পঞ্চগড় থেকে ঢাকাগামী নাবিল পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে দিনাজপুর গ্রামে একটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এ সময় রংপুরগামী একটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় ট্রাকচালকসহ ১০ জন আহত হয়। স্থানীয় ও পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় পাকারপুল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কের ওপর দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া ট্রাকটি পড়ে আছে। পাশেই আরেকটি পিকআপ খালে পড়ে গেছে। সংঘর্ষের শিকার নাবিল পরিবহনটি উদ্ধার করে পুলিশ থানায় নিয়ে গেছে।
হাজীপুর গ্রামের বাসিন্দা নালু মিয়া বলেন, “মধ্যরাতে যখন বিকট শব্দ হয়, বাড়ি থেকে বের হয়ে সড়কের দিকে ছুটে আসি। আমার সঙ্গে গ্রামের আরও কয়েকজন আসে। এত কুয়াশা যে পাশাপাশি হাঁটছিলাম, তবু কেউ কাউকে দেখতে পাচ্ছিলাম না। পরে পুলিশ এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কয়েক দিন ধরে এই সড়কে দুর্ঘটনা লেগেই আছে।”
পাকারপুল এলাকায় কথা হয় ট্রাকচালক আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, গত তিন দিন ধরে অনেক কুয়াশা। সড়কে দুই হাত আগে কী আছে দেখা যায় না। এমন কুয়াশা থাকলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। গতি কম রেখে গাড়ি চালালেও দুর্ঘটনা ঘটছে।
দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক দেখতে আসা বামনদীঘি গ্রামের বাসিন্দা আসাদুজ্জামান বলেন, শীতের সময় মহাসড়কের এ অংশে খুবই দুর্ঘটনা ঘটে। কয়েক দিন ধরে বিকেল হলেই খুব কুয়াশা পড়ছে। সন্ধ্যার পর তো সড়কে কিছু দেখা যায় না। এখন বেলা সাড়ে ১০টা বাজে, ২০ হাত দূরে কী আছে বোঝা যাচ্ছে না। কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে।
তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, যে দুর্ঘটনা ঘটে তা ঘন কুয়াশার কারণে হয়েছে। গাড়ির গতি কম ছিল বলে প্রাণহানি হয়নি। তবে রংপুর থেকে সৈয়দপুর পর্যন্ত মহাসড়ক সংকীর্ণ হওয়ায় দুর্ঘটনা বাড়ছে। দুর্ঘটনা রোধে সড়কের এ অংশ খুব দ্রুত দুই লেন থেকে চার লেনে উন্নীত করা দরকার।