• ঢাকা
  • বুধবার, ০২ এপ্রিল, ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩০, ২ শাওয়াল ১৪৪৬

কিস্তির টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় জেলেকে এনজিও কর্মীদের মারধর


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৫, ০৬:৪৩ পিএম
কিস্তির টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় জেলেকে এনজিও কর্মীদের মারধর

ফরিদপুর সদরপুরে কিস্তির টাকা না পেয়ে নন্দ মালো (৪৫) নামের এক জেলেকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে পিপল্স ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন (পপি) এনজিও কর্মীদের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (৭ মার্চ) ভুক্তভোগী নন্দ মালো, প্রত্যক্ষদর্শী ও গ্রামবাসী গণমাধ্যম কর্মীদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকেলে উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে এই মারধরের ঘটনা ঘটে।

পরে স্থানীয়রা আহত নন্দ মালোকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে জেলে নন্দ মালোর বাড়িতে কিস্তির টাকা নিতে আসেন এনজিওর ম্যানেজার মমিনুল হক, এরিয়া ম্যানেজার মোজাফ্ফর হোসেন ও মাঠকর্মী প্রণব কুমার। তার কাছে টাকা না থাকায় তাদের পরে আসতে বলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ওই এনজিওকর্মীরা নন্দর ওপর হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর জখম করেন।

আহত নন্দ মালো বলেন, “বিকেলে তিনজন এনজিও কর্মী আমার কাছে কিস্তির টাকা নিতে আসে। আমার কাছে টাকা না থাকায় আমি কিস্তি দিতে পারিনি। পরে তারা আমার বাড়িতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন বলে সন্ধ্যায় বাড়িতে থাকতে বলেন। আমি বলি আমার কাছে টাকা নেই আপনারা যা ইচ্ছা করেন। এরপর তারা তিনজন আমাকে মারধর করেন।”

ভুক্তভোগী আরও জানান, পপি এনজিও’র হাট কৃষ্ণপুর শাখা থেকে ৫০ হাজার টাকা লোন নেন। এখন ওই এনজিও তার কাছে ৯ হাজার টাকা পাবে।

এ বিষয়ে পপি’র হাট কৃষ্ণপুর শাখার এরিয়া ম্যানেজার মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, “আমরা তিনজন বিকেলে নন্দর বাড়িতে বকেয়া কিস্তির টাকা তুলতে যাই। টাকা চাইলে তিনি আমাদের বলেন, ‘টাকা দেব না, যা পারেন তাই করেন’। পরে তিনি আমাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আমাদের ম্যানেজার আহত হয়।”

এ বিষয়ে কথা বলতে এনজিওর ওই শাখার ম্যানেজার মমিনুল হকের মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোতালেব বলেন, “এই ঘটনায় আমাদের কাছে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

Link copied!