ঝালকাঠির রাজাপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাস খাদে পড়ে যাওয়ার প্রায় ১১ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থল থেকে এক যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের নৈকাঠি গ্রামের জোমাদ্দারবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আতাউর রহমান।
নিহত গোপালকৃষ্ণ মজুমদার (৮৫) ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চারুখান গ্রামের মৃত হেমন্ত মজুমদারের ছেলে। তিনি ওই বাসের যাত্রী ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে পিরোজপুর থেকে ছেড়ে আসা বরিশালগামী বৈশাখী পরিবহন নামের বাসটি সাতুরিয়ার নৈকাঠি গ্রামের জোমাদ্দারবাড়ি এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় আহত কয়েকজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তখন বাসের ভেতরে কাউকে পাননি। রাতে রেকার দিয়ে বাসটি ওঠানো হয়। এ সময় বাসটির নিচে চাপা পড়ে থাকা গোপালকৃষ্ণ মজুমদার নামে এক যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
দুর্ঘটনায় মৃতের মেয়েজামাই বিজয় কৃষ্ণ হাওলাদার বলেন, “আমার শ্বশুর বেড়ানোর উদ্দেশ্যে আমাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু আজ সকালে নিজের বাড়িতে ফিরে আসতে চান। তাই সকালে আমি তাকে বৈশাখী পরিবহন নামে একটি বাসে পিরোজপুর থেকে উঠিয়ে দিই। সময়মতো বাড়ি ফিরে না আসার কারণে সবাই দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করি, কিন্তু তাঁকে কোথাও পাইনি। পরে জানতে পারি, বাসটি সকালেই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। রাতে বাসটি রেকার দিয়ে পুকুর থেকে ওঠানোর পর তার নিচ থেকে আমার শ্বশুরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।”
ওসি মুহাম্মদ আতাউর রহমান বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় বাসের নিচে ওই ব্যক্তির মরদেহ পাওয়া যায়। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।