• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

এক ইলিশ বিক্রি হলো ৫২০০ টাকায়


নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২৪, ০৩:১৯ পিএম
এক ইলিশ বিক্রি হলো ৫২০০ টাকায়

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে জেলের জালে ২ কেজি ওজনের একটি ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে। পরে মাছটি ঘাটে এনে সর্বোচ্চ দাম হাঁকিয়ে ৫ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। এসময় ইলিশটি দেখতে মাছঘাটে ভিড় জমান স্থানীয় ও দর্শনার্থীরা।

শনিবার (১৩ জুলাই) রাত ৮টার দিকে উপজেলার চর ইশ্বর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বাতান খাল বউ বাজার মাছঘাটে ইলিশটি নিলামে বিক্রি করা হয়।

জানা যায়, ভোলার দৌলত খাঁ এলাকার বিল্লাল মাঝি মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে এই ইলিশটি পেয়েছেন। তারপর তিনি চর ইশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদের মৎস্য আড়তে নিয়ে আসেন। আবদুল হালিম আজাদ নিলামের ডাক দিলে মাছটি ৫ হাজার ২০০ টাকায় কিনে নেন সৌরভ ব্যাপারী।

জেলে বিল্লাল মাঝি বলেন, “শুক্রবার (১২ জুলাই) রাতে আমি নদীতে জাল ফেলেছি। শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে জাল উঠিয়েছি। এতে বড় ইলিশটি ধরা পড়ে। পরে বাতান খাল বউ বাজার মাছঘাটে নিয়ে আড়তে মাছটির ডাক উঠানো হয়। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো দাম পেয়েছি।”

চর ইশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদ বলেন, “গত কয়েকদিন কেজি ওজনের ইলিশ বেশি আসছে। তবে বিল্লাল মাঝির জালে ধরা পড়া ২ কেজি ওজনের ইলিশ চমক ছিল। এত বড় ইলিশ সচরাচর পাওয়া যায় না। বড় ইলিশ হওয়ায় দাম বেশি হয়েছে। এমনিতে নদীতে ইলিশ কম পাওয়ায় দাম বেশি।”

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, সরকার মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে ইলিশের প্রজনন মৌসুম নিরাপদ করেছে, পাশাপাশি মাছের জন্য অভয়াশ্রম তৈরি করা এবং সাগরে নির্দিষ্ট সময় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়। ফলে এখন মাছ যেমন বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে, তেমনি মাছের বংশবৃদ্ধি এবং উৎপাদন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদীতে মাছ কম পেলেও সামনে নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে মাছ বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

Link copied!