• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

যৌতুকের দাবিতে কলেজছাত্রীকে পিটিয়ে হত্যা


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৪, ০৬:৩২ পিএম
যৌতুকের দাবিতে কলেজছাত্রীকে পিটিয়ে হত্যা
তানজিলা আক্তার তহেরা (২১)।

ফরিদপুরে যৌতুকের দাবিতে তানজিলা আক্তার তহেরা (২১) নামের এক কলেজছাত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী জিসান আহমেদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তানজিলার বাবা সাবেক সেনা কর্মকর্তা তোবারেজ মোল্লা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে জিসান আহমেদকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এ ঘটনায় তানজিলার বাবা সাবেক সেনা কর্মকর্তা তোবারেজ মোল্লা ফরিদপুর কোতোয়ালী থানায় অভিযোগ করেছেন।

বুধবার (১০ জুলাই) রাত ১০টার দিকে জিসান শহরতলীর গঙ্গাবর্দী এলাকার মারকাজ মসজিদের পাশের ভাড়া বাড়িতে তানজিলাকে পিটিয়ে আহত করেন তার স্বামী। পরে তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক লিটন গাঙ্গুলি তানজিলার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে তাকে সার্জারি ওয়ার্ডের ভর্তি করেন। মেডিকেলের সার্জারি ওয়ার্ডের ৫ তলার বেডে নেওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়।

নিহত তানজিলা আক্তার তহেরা ফরিদপুর সদরের ডোমরাকান্দি উত্তর পাড়া গ্রামের তোবারেজ মোল্লার মেয়ে। তিনি সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

প্রায় ৫ মাস আগে প্রেমের সর্ম্পক করে সদরের পূর্ব গঙ্গাবর্দী এলাকার জাহিদ ফকিরের ছেলে জিসান আহমেদের ছেলের সাথে তার বিয়ে হয়।

তানজিলার বাবা তোবারেজ মোল্লা বলেন, “বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য আমার মেয়ের ওপর জিসান ও তার মা জবেদা বেগম নির্যাতন করতো। জিসান মোটরসাইকেল দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে মেয়েকে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিতো। আমার মেয়ে এ বিষয়টাতে সায় দিতো না বলে দুই মাস আগে মেরে হাসপাতালে ভর্তি করে। তার সকল ডকুমেন্টস আমি থানায় জমা দিয়েছি।”

তোবারেজ মোল্লা আরও বলেন, “বুধবার রাত ৮টার দিকে আমার মেয়ের সাথে কথা হয়। রাত ১২টার দিকে আমার মেয়ের নাম্বার দিয়ে জিসানের এক বন্ধু ফোন করে বলে তানজিলা আত্মহত্যা করতে গেছিল, আমরা তাকে মেডিকেলে ভর্তি করেছি। আমরা রাতেই হাসপাতালে গিয়ে মেয়ের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখি। জিসান বা কাউকে আমরা তখন কাছে পাইনি। জিসান নেশাগ্রস্ত ছিল। যৌতুক না পেয়ে আমার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। ভাড়া বাড়িতে থাকার আগে যখন শ্বশুর বাড়ি ছিলো, তখন শ্বশুরবাড়ির লোকজনও তাকে পিটিয়ে আহত করেছে।”

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন বলেন, “জিসান ও তানজিলার মধ্যে দাম্পত্য কলহ ছিল। যৌতুকের জন্য তানজিলার ওপর নির্যাতন করা হতো। জিসানের পরিবারের পক্ষ থেকে আত্মহত্যার কথা বলা হলেও তানজিলার শরীরে স্বাভাবিক কিছু জখমের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনার মেয়ের বাবা একটি অভিযোগ প্রদান করেছে। আমরা জিসানকে আটক করেছি।”

Link copied!