• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

সঞ্চয়পত্রের টাকা আত্মসাৎ, পোস্ট মাস্টার বরখাস্ত


নেত্রকোণা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৪, ০১:৩৮ পিএম
সঞ্চয়পত্রের টাকা আত্মসাৎ, পোস্ট মাস্টার বরখাস্ত
অভিযুক্ত পোস্ট মাস্টার শাহেদুন্নাহার। ছবি : সংগৃহীত

নেত্রকোনার কেন্দুয়া পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার শাহেদুন্নাহারকে সঞ্চয়পত্রের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। 

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) নেত্রকোনা অঞ্চলের পোস্ট অফিস পরিদর্শক আবু হেনা মোনাসিফ করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, রোববার কেন্দ্রীয় সার্কেলের পোস্ট মাস্টার জেনারেল মো. ফরিদ আহমেদের স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আদেশের পরদিন পোস্ট মাস্টার শাহেদুন্নাহারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তার স্থানে মধুভূশন সরকার নামে একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

শাহেদুন্নাহার গত বছরের নভেম্বরে কেন্দুয়া উপজেলা পোস্ট অফিসে পোস্ট মাস্টার হিসেবে যোগ দেন। এর আগে তিনি নেত্রকোনা সদর পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার পদে কর্মরত ছিলেন।

বরখাস্তের আদেশ বলা হয়েছে, পোস্ট মাস্টার শাহেদুনাহার সঞ্চয়পত্রের ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত কুপন জালিয়াতিভাবে এবং বাতিল মুনাফা কুপনে ফ্লুইড ব্যবহার করে পুনর্ব্যবহার মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেন। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রমাণাদি ও সরকারি ডকুমেন্টস ঔদ্ধত্যপূর্ণভাবে ছিঁড়ে ফেলেন। এমনকি ঘটনার তদন্তের সময় তদন্ত টিমের কাছে লিখিত বিবৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্তকাজে অসহযোগিতা ও ব্যাঘাত সৃষ্টি করেন। অসদাচরণ ও আত্মসাতের ঘটনা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

ডাক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পোস্ট মাস্টার শাহেদুন্নাহার গত বছরের নভেম্বরে নেত্রকোনা সদর থেকে কেন্দুয়া উপজেলা পোস্ট অফিসে যোগ দেন। তবে বদলি হওয়ায় সময় সদর অফিস থেকে এক নারীর পুরোনো সঞ্চয়পত্রের কুপন সঙ্গে নিয়ে যান। যে সঞ্চয়পত্রের টাকা ২০১৭ সালেই ওই নারী তুলে নিয়েছেন। কেন্দুয়ায় গিয়ে ওই ভাঙানো সঞ্চয়পত্রে থাকা লাল কালি দ্বারা ক্রস চিহ্ন ফ্লুইড দিয়ে মুছে ফেলেন শাহেদুন্নাহার। পরে পুনরায় সেই সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা তুলে আত্মসাৎ করেন তিনি। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল প্রমাণাদি তিনি ছিঁড়ে ফেলেন।

বিষয়টি ডাক বিভাগের নজরে এলে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। ময়মনসিংহ ডাক বিভাগের সুপারিন্টেন্ডেন্ট রিপন রায়কে প্রধান করে তিন সদস্য তদন্ত কমিটি করা হয়। এ কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন ময়মনসিংহ ডাক বিভাগের পরিদর্শক পলাশ চন্দ্র ধর ও নেত্রকোনার পোস্ট অফিস পরিদর্শক আবু হেনা মোনাসেফ করিম। এদিকে তদন্তকালে কমিটির সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন শাহেদুন্নাহার।

ওই কমিটি তদন্ত করে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পায়। তাদের প্রতিবেদন পেয়ে কেন্দ্রীয় সার্কেলের পোস্ট মাস্টার জেনারেল মো. ফরিদ আহমেদ অভিযুক্ত পোস্ট মাস্টার শাহেদুন্নাহারকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

এ বিষয়ে জানতে বরখাস্ত করা পোস্ট মাস্টার শাহেদুন্নাহারকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ না করে কেটে দেন।

অফিস পরিদর্শক আবু হেনা মোনাসিফ করিম বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অধিকতর তদন্তের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আরও একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Link copied!