• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

ফুটবল খেলা নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক


নেত্রকোণা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৪, ০২:০৮ পিএম
ফুটবল খেলা নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

নেত্রকোনার মদনে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় নেত্রকোনা-মদন প্রধান সড়কে কাইটাইল ইউনিয়নের জয়পাশা ও কেশজানি গ্রামের সীমানায় এমন ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহত ৯ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মদন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন মদন থানার এসআই শরিফুল ইসলাম, এসআই শাহাজাহান সিরাজী, এসআই সামিউল ইসলাম, এএসআই জামিল হোসেন ও কনস্টেনল রাসেল মিয়া। তারা মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে কেশজানি গ্রামের মাঠে জয়পাশা ও কেশজানি গ্রামের কিশোরদের ফুটবল খেলা চলছিল। খেলা নিয়ে তর্কে জয়পাশা ও কেশজানী গ্রামের কিশোরদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই জেরে দুই গ্রামের লোকজন সন্ধ্যায় নেত্রকোনা-মদনের প্রধান সড়কে সংঘর্ষে জড়ায়। ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ দুই পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিত লোকজন আহত হন। প্রধান সড়কে সংঘর্ষ থাকায় ওই এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার নয়ন ঘোষ জানান, রাত ৯টা পর্যন্ত সংঘর্ষে আহত ৩৪ জন রোগীকে মদন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৯ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কিছু রোগী আবার চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন।

মদন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, শনিবার সকালে আবারও ওই দুই গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়ানোর জন্য মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছিল। পরে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতারা সালিশ বৈঠকে বিষয়টি আগামী চার দিনের মধ্যে সমাধান করবেন বলে জেনেছি। এখন পর্যন্ত ওই সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত আছে।

Link copied!