• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ধরিত্রী রক্ষায় প্লাস্টিক বন্ধের দাবি


মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০২৪, ০৪:২৮ পিএম
ধরিত্রী রক্ষায় প্লাস্টিক বন্ধের দাবি

প্লাস্টিকের দূষণ থেকে বাগেরহাটের মোংলার পশুর নদ ও সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছে পরিবেশবাদী কয়েকটি সংগঠন। এসময় বক্তারা সুন্দরবন ও উপকূলীয় এলাকায় একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধের দাবি জানান।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে বিশ্ব ধরিত্রী দিবস উপলক্ষে মোংলা উপজেলা পরিষদ চত্বরে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর নেতা গীতিকার মোল্লা আল মামুন, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার নাজমমুল হক, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের কমলা সরকার, হাছিব সরদার, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার আব্দুর রশিদ হাওলাদার, শেখ রাসেল প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সুন্দরবন ও উপকূলীয় এলাকা এখন প্লাস্টিকে সয়লাব। একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনের তিনটি প্রধান নদীর অন্তত ১৭ প্রজাতির মাছ ও ৩ প্রজাতির শেলফিশ মাইক্রোপ্লাস্টিকে সংক্রমিত। এসব মাছ খাওয়ার মাধ্যমে মানুষের খাদ্যশৃঙ্খলে প্লাস্টিক কণা প্রবেশ করবে। পাচনতন্ত্র, লিভার ও কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এমনকি ক্যান্সারের মতো ভয়বহ মরণব্যাধী হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এছাড়া নারীদের বন্ধ্যাত্বের কারণও হতে পারে এ প্লাস্টিক কণা। তাই সুন্দরবন ও উপকূলীয় এলাকায় একবার ব্যবহার্য সব ধরনের প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার এখনই সময়।

বক্তারা আরও বলেন, শুধু মাত্র সুন্দরবন নয়, এর আশপাশের নদ-নদী ও উপকূলীয় এলাকায়ও প্লাস্টিক বন্ধ করতে হবে। প্লাস্টিকদূষণ ও শিল্পদূষণে সুন্দরবনের প্রাণবৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। গ্রিনহাউস গ্যাসের একটি কারণ প্লাস্টিক। এটি তৈরিতে প্রায় ৩৮ ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে ১২ থেকে ১৮ ধরনের কেমিক্যাল অত্যন্ত ক্ষতিকর। পলিথিনও একবার ব্যবহার্য পণ্যের মধ্যে পড়ে। এটা কোনোভাবে রিসাইকেল হয় না, বরং বর্জ্য উৎপন্ন করে। এখনই পলিথিন ও প্লাস্টিক বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তারা।

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!