• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল, ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩০, ১ শাওয়াল ১৪৪৬

২ ডজন নেতাকে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগ যে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে


চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৫, ১০:৩৬ এএম
২ ডজন নেতাকে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগ যে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও বিপ্লব বড়ুয়া

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়াসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের অন্তত দুই ডজন নেতাকে দেশ থেকে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উচ্চপদস্থ সাবেক এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। 

বিপুল অর্থের বিনিময়ে তাদের পালানোর সুযোগ দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিভিন্ন পদে দায়িত্বে থাকা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্র্তৃপক্ষের (বেবিচক) এবং নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। শুধু তা-ই নয়, শাহ আমানতের উচ্চপদস্থ সাবেক ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পে আর্থিক অনিয়ম এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।

শাহ আমানতে বিভিন্ন পদে দায়িত্বে থাকা বেবিচকের এবং নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পরদিন (৬ আগস্ট) সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আবাসিক এলাকায় সাবেক ওই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সরকারি বাসায় রাতে অবস্থান করেন। ৭ আগস্ট সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে বিপ্লবকে তুলে দেন ওই কর্মকর্তা। শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে আরেকটি উড়োজাহাজে করে বিপ্লব বড়ুয়া যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। একইভাবে ৬ থেকে ৮ আগস্টের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র পাড়ি দিতে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলকে সহযোগিতা করেন ওই কর্মকর্তা।

অভিযোগ রয়েছে, নিরাপদে দেশত্যাগে সহযোগিতার বিনিময়ে বিপ্লব বড়ুয়ার কাছ থেকে নগদে ৫ কোটি টাকা নিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। নওফেলের কাছ থেকেও সমপরিমাণ টাকা নেওয়া হয়েছে বলে আলোচনা রয়েছে শাহ আমানতে বেবিচকের এবং নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শাহ আমানত বিমানবন্দর দিয়ে নিরাপদে বিপ্লব ও নওফেলকে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যেতে ঊর্ধ্বতন ওই সাবেক কর্মকর্তার হয়ে মাঠপর্যায়ে সার্বিক সহযোগিতা করেন শাহ আমানত বিমানবন্দরের অ্যারোড্রাম ফায়ার অপারেটর দীপঙ্কর চৌধুরী। 

৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নিজের কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন তিনি। কিন্তু গত বছর ১ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি (দীপঙ্কর) আর কর্মস্থলে আসছেন না। বিমানবন্দরটির দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সাবেক মেয়রসহ যুবলীগ-ছাত্রলীগের অন্তত দুই ডজন নেতাকে দেশত্যাগে সহযোগিতার অভিযোগ ওঠায় দীপঙ্কর চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করেছে শাহ আমানত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

Link copied!