বরগুনার তালতলীতে ভাতিজিকে ধর্ষণ করতে গিয়ে পুরুষাঙ্গ হারালেন কবির হোসেন (৩৫) নামের এক যুবক।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের সকিনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত কবির হোসেন ওই এলাকার পাঞ্জু হাওলাদারের ছেলে।
জানা যায়, উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের সকিনা এলাকায় এক তরুণী শুঁটকি পল্লীতে কাজ করেন। সেখানে কবির হোসেনও কাজ করেন। একই এলাকার দুসম্পর্কের চাচা হন কবির হোসেন। তাকে প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন কবির। ওই তরুণীর বাড়িতে কেউই না থাকার সুযোগ পেয়ে গতকাল রাতে কৌশলে ঘরের ভেতরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় ভাতিজি ধারালো দা দিয়ে কবির হোসেনের গোপনাঙ্গ কেটে দেন। পরে স্থানীয়রা কবিরকে উদ্ধার করে প্রথমে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল হাসপাতালে পাঠান।
ভুক্তভোগী ওই তরুণী বলেন, “কবির হোসেন আমার দূর সম্পর্কের চাচা হন। তিনি আমাকে প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। আমি রাজি না হওয়াতে তিনি আমাদের ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। অনুরোধ করলেও চাচা কবিব কিছুতেই শোনেননি। এ সময় কৌশলে ধারালো দা এনে তার গোপনাঙ্গ কেটে দিই। পরে তিনি পালিয়ে যান।”
অভিযুক্ত কবির হোসেন বলেন, “আমি ভাতিজির বাসায় গিয়ে দেখি দুইটি অপরিচিত ছেলে। ওই ছেলেসহ ভাতিজি হঠাৎ আমাকে ধরে মারধর করে ও গোপনাঙ্গ কেটে দেয়। আমি কোনোমতে প্রাণ বাঁচাতে লুঙ্গি নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে আসি।”
তালতলী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কালাম খান বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।