বঙ্গোপসাগরের মহেশখালী সোনাদিয়া দ্বীপের পশ্চিমে জলদস্যুদের গুলিতে এক জেলে নিহত হয়েছেন এবং ১৯ জন জেলে অপহৃত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ভোরে আল্লাহর দয়া নামের একটি ট্রলার সাগরে মাছ ধরতে গেলে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কুতুবদিয়ার উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম।
নিহত জেলের নাম মোকাররম মাঝি। তিনি কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের আজিম উদ্দিন সিকদার পাড়ার মৃত জাফর আহমদের ছেলে এবং উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদের তিন নম্বর ব্লকের নারী ইউপি সদস্য রহিমা বেগমের স্বামী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহেশখালীর সোনাদিয়ার কাছে এক দফায় মাছ ধরে ফের সাগরে জাল ফেলে মোকাররম মাঝির মাছ ধরার ট্রলারটি। এক পর্যায়ে ট্রলারটি জলদস্যুদের কবলে পড়ে। দস্যুদের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত ওই স্থান ত্যাগ করতে চান মাঝি। দস্যুরা ট্রলারটি লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে ট্রলারের মাঝি গুলিবিদ্ধ হয়ে সাগরে পড়ে যান। পরে অন্য নৌকার জেলেরা তাকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়ার মগনামা ঘাট হয়ে চট্টগ্রামে নেওয়ার পথে বাঁশখালী পয়েন্টে তার মৃত্যু হয়।
কক্সবাজার জেলা বোট মলিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, ট্রলারে থাকা মোট ২১ জন মাঝি-মাল্লা ছিলেন। এতে জলদস্যুর গুলিতে একজন নিহত হন। বাকিদের অপহরণ করে নিয়ে যায় দস্যুরা।
স্থানীয় এক জেলে জানান, ট্রলারে ডাকাতের আক্রমণ হলে দুইজন পালানোর চেষ্টা করেন। এসময় জলদস্যু মঞ্জুর বাহিনী তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এতে মোকাররম নামে ওই মাঝি ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং একজন আহত হন।
ট্রলারের মালিক ইসমাঈল জানান, তার ট্রলারটি সাগরে মাছ ধরতে নামে। মাছ ধরতে সমুদ্রে যাওয়ার পরই জলদস্যুরা আক্রমণ চালায়। তারা ট্রলার ও জেলেদের ধরে নিয়ে গেছে এবং ট্রলারে থাকা মাছও লুট করে নিয়ে যায়।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, মহেশখালীর গভীর সাগরে গুলিবিদ্ধ একজনের মরদেহ বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহের সুরতহাল সংগ্রহ করেছে। মরদেহের ময়নাতদন্ত ও পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।