• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বেচ্ছাশ্রমে দেড় কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২৪, ০৬:১৮ পিএম
স্বেচ্ছাশ্রমে দেড় কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ
স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক নির্মাণ। ছবি : প্রতিনিধি

কারও হাতে কোদাল, কারও হাতে টুকরি। ব্যস্ত গ্রামের ছেলে-বুড়ো সবাই। সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার সড়াতৈল গ্রামে স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক নির্মাণ করছেন গ্রামবাসী। দেড় কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ হলে দীর্ঘ ৫৩ বছরের ভোগান্তির অবসান ঘটবে। সড়কটি স্থায়ীভাবে নির্মাণসহ পাকাকরণে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান স্থানীয়দের।

সরেজমিন দেখা যায়, সালদারবিল সংলগ্ন বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। আশপাশে যাতায়াতের কোনো রাস্তা নেই। ঘরে ফসল তুলতে কৃষকদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ ছাড়া চলাচলের দুর্ভোগ কমাতে স্বেচ্ছাশ্রমে দেড় কিলোমিটার সড়ক তৈরির কাজ শুরু করেছেন সড়াতৈল গ্রামবাসী।

ইতোমধ্যে আধা কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজ শেষের দিকে। সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানাধীন ১৩নং জালালপুর ইউনিয়নের সড়াতৈল গ্রামে সড়কটি তৈরি করা হচ্ছে। পাঁচিল-এনায়েতপুর-সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কসহ শাহজাদপুর যেতে অনেকটা পথ ঘুরে যেতে হয়। শিক্ষার্থীদের বর্ষায় নৌকাযোগে অনেক পথ মাড়িয়ে স্কুল-কলেজে যেতে হয়। এ ছাড়া মাঠ থেকে ফসল ঘরে নিতে আনতে অনেক কষ্ট করতে হয়। সড়কটি তৈরি হলে সবার উপকার হবে।

সড়ক নির্মাণে কাজে যুক্ত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মজুরি ছাড়াই তারা কাজ করছেন। গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে যারা শ্রম দিতে পারছেন না, তারা আর্থিক সহযোগিতা করছেন। অনেকে আবার সড়ক তৈরির জমি দান করেছেন। দুই সপ্তাহ আগে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে সড়কের বড় একটি অংশ দৃশ্যমান হয়েছে। তবে কাজ শেষ হতে আরও বেশ কিছুদিন সময় লাগবে।

স্থানীয় ফারুক রেজা, আব্দুর রশিদ ও আব্দুর রহমান জানান, একটি সড়কের জন্য স্বাধীনতার পরবর্তী দীর্ঘ ৫৩ বছর ধরে এলাকার লোকজন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। স্থানীয় এলাকাবাসী বারবার জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধরনা দিয়েও কোনো কাজ হয়নি। পরে এলাকাবাসী পরিকল্পনা করে স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। পরে সবাই মিলে কাজ শুরু করা হয়।  

সড়কটি নির্মাণের অন্যতম উদ্যোক্তা সমাজসেবক নজরুল ইসলাম বলেন, “রাস্তাটি তৈরিতে বেশ কয়েকজন জমি দান করেছেন। গ্রামের সবাই শ্রম দিচ্ছেন। পাশের খেতের মাটি ফেলে কাঁচা সড়ক তৈরি করা হচ্ছে। প্রশাসন বা অন্য কোনো জায়গা থেকে অর্থ বরাদ্দ পেলে সড়কটি পাকা করা সম্ভব হবে। সড়কের দুই পাশে গাছের চারা লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে।”

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!