নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা থেকে আত্রাই হয়ে নাটোর পর্যন্ত চলাচলে সড়কটিতে বেড়েছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। সড়টি অতিরিক্ত সরু হওয়ায় ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। তাই বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে সড়কটি প্রসস্ত করা অতি জরুরি বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আত্রাই-নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক এই মহাসড়কটি নির্মাণ করা হয়। এ সড়ক নির্মাণ হওয়ার ফলে নওগাঁর রাণীনগর, আত্রাই, রাজশাহীর বাগমারা, নাটোরের সিংড়া, নলডাঙ্গাসহ বিস্তীর্ণ এলাকার জনসাধারণের যোগাযোগের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
তবে এ সড়কের নওগাঁ থেকে রাণীনগর পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়ক ৩৪ ফুট প্রসস্ত করা হলেও রাণীনগর থেকে নলডাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার সড়ক মাত্র ১৮ ফুট প্রসস্ত রয়েছে। আঞ্চলিক এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন বাস, ট্রাক, ঢাকাগামী কোচসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। রাণীনগর থেকে নলডাঙ্গা পর্যন্ত সড়কটি প্রসস্ত কম হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা।
আত্রাইয়ের স্থানীয় যুবদল নেতা নাসির উদ্দিন (চঞ্চল) বলেন, “এ সড়কটি বিগত বিএনপির আমলেই শুরু করা হয়েছিল। সড়কটি প্রসস্ত কম হওয়ায় আমাদের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেক সময় কোনো যানবাহনকে সাইড দিতে গিয়ে আরেক যানবাহন খাদে পড়ে যায়। এতে অনেক সময় হতাহতের ঘটনাও ঘটে।”
আত্রাই-নাটোর রুটের সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক রায়হান আলী বলেন, “নলডাঙ্গা থেকে নাটোর পর্যন্ত সড়কটি অতিরিক্ত আঁকাবাঁকা হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা যানবাহন চালাই। সেখানেও অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে।”
এ ব্যাপারে নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশেদুল হক বলেন, “নওগাঁ থেকে রাণীনগর পর্যন্ত একটি পৃথক প্রকল্প আর রাণীনগর থেকে নলডাঙ্গা পর্যন্ত আরেকটি প্রকল্প। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”