রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় একটি হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে মাওলানা মাহমুদুল হাসানকে। যিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকারের পতনের দিন ৫ আগস্ট বাড্ডায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।
সম্প্রতি নিহতের গ্রামের বাড়িতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানা থেকে পুলিশি তদন্তের জন্যে কাগজ গেলে এনিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। নিহত ব্যক্তির নামে মামলা হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বজন ও স্থানীয়রা।
নিহত মাহমুদুল হাসান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে রাজধানীর উত্তরায় বসবাস করতেন। গাজীপুরের কাপাসিয়া চাঁদপুর বাজার মসজিদের খতিব ছিলেন তিনি।
নিহত মাহমুদুল হাসানের চাচা সাইদুর রহমান বলেন, “৫ আগস্ট বিকেলে বাড্ডায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় আমার ভাতিজা মাহমুদুল হাসান। স্থানীয় ইউপি সদস্য আমাকে কয়েকদিন আগে ফোন করে জানায় আমার ভাতিজা মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে ঢাকায় মামলা হয়েছে। তা শুনে আমি হতভম্ব! মৃত ব্যক্তির নামে এতোদিন পরে মামলা কীভাবে সম্ভব!”
সাইদুর রহমান বলেন, “আমি বিষয়টি নিয়ে ঢাকায় মাওলানা মামুনুল হক এবং ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আশ্বস্ত করেছেন বিষয়টি কঠিনভাবে দেখবেন।”
স্থানীয় ইউপি সদস্য শরীফ উদ্দিন বলেন, “কয়েকদিন আগে সরাইল থানা থেকে ফোন দিয়ে মাহমুদুল হাসানের বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছিলেন। কারণ জিজ্ঞেস করায় উনি জানালেন তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুনে আমি অবাক হলাম। কারণ ঢাকায় নিহত হওয়ার পর তার মরদেহ আমাদের গ্রামে দাফন করেছি। এখন সে নাকি মামলার আসামি। পরে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার জানালেন তার মৃত্যু সনদ দিতে। আমি বিষয়টি তার চাচাকে জানাই।”
এ বিষয়ে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানা থেকে একটি অনুসন্ধান স্লিপ এসেছে। যেহেতু অভিযুক্ত মৃত, সেই অনুযায়ী আমরা প্রতিবেদন সেখানে পাঠিয়ে দেব।”