নোয়াখালীতে নতুন গ্যাসকূপের সন্ধান


নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৪, ০৯:১৮ এএম
নোয়াখালীতে নতুন গ্যাসকূপের সন্ধান

নোয়াখালীতে নতুন গ্যাসকূপের সন্ধান মিলেছে। জেলাটির সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নে খননকৃত বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপের তিনটি স্তরে মিলেছে জ্বালানি গ্যাস। এই কূপ থেকে দৈনিক ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে ধারণা করছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।

সোমবার (১২ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টায় গ্যাসকূপ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাপেক্সের ভূ-পদার্থিক বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার ওহিদুল ইসলাম।

বাপেক্স জানায়, সোনাইমুড়ীর অম্বরনগর ইউনিয়নের ওয়াছেকপুর গ্রামে খননকৃত বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপে মিলেছে গ্যাসের সন্ধান। ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল শুরু হওয়া খননকাজ শেষ হয়ে ডিএসটি টেস্ট শেষে এখন চলছে সর্বনিম্ন স্তরের উৎপাদন টেস্ট। প্রাথমিকভাবে কূপটির তিনটি স্তরে গ্যাসের অস্তিত্ব মিলেছে। উৎপাদন টেস্ট শেষে জানা যাবে এখানে মজুতকৃত মোট গ্যাসের পরিমাণ।

বাপেক্স সূত্রে জানা যায়, কূপটিতে ৩ হাজার ১১৩ মিটার গভীর পর্যন্ত খনন করা হয়। যার মধ্যে ১ হাজার ৯২১ থেকে ১ হাজার ৯৭৩ মিটার পর্যন্ত প্রথম স্তর, ২ হাজার ৫৪৮ মিটার থেকে ২ হাজার ৫৮৫ মিটার পর্যন্ত দ্বিতীয় স্তর এবং ৩ হাজার ৮১ মিটার থেকে ৩ হাজার ১০১ মিটার পর্যন্ত তৃতীয় স্তরে গ্যাস মিলেছে।

হাওলাদার ওহিদুল ইসলাম বলেন, “আমাদের লক্ষ্যমাত্রার থেকে বেশি গ্যাস মিলতে পারে বলে ধারণা করছি। এখন পর্যন্ত টার্গেটকৃত চারটি জোনের মধ্য থেকে তিনটি জোন থেকে বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস উত্তোলন করা যাবে বলে আশা করছি।”

বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপের প্রকল্প পরিচালক মো. প্রিন্স আল হেলাল বলেন, এখান থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ করার লক্ষমাত্রা ছিল। তবে লোয়ার জোনে গ্যাসের কন্ডিশন দেখে মনে হচ্ছে আরও বেশি কিছু করা যাবে। উৎপাদন টেস্ট শেষে মোট গ্যাসের মজুত সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এর আগে ১৯৭৬ সালে বেগমগঞ্জ-১ ও ১৯৭৮ সালে বেগমগঞ্জ-২ গ্যাসকূপ খনন করা হলেও সেগুলো থেকে গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। ২০১৪ সালে বেগমগঞ্জ-৩ কূপ খনন করা হয় এবং সেখান থেকে এখনও প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ফেনী-নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক সঞ্চালন লাইনে সবরাহ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এখানে বেগমগঞ্জ-৫ ও বেগমগঞ্জ -৬ কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে বাপেক্সের।

Link copied!