মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে কাদির হালদার (৬৫) ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার ভাতিজাদের বিরুদ্ধে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার তৌলকাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে টঙ্গীবাড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।
নিহত কাদির হালদার তৌলকাই গ্রামের মৃত তজিমউদ্দিন হালদারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি আপন ভাই মোবারক হালদারের কাছ থেকে জমি কেনার জন্য অপর তিন ভাই কাদির হালদার, ফারুক হালদার ও জালাল হালদারের কথা হয়। কিন্তু মাসখানেক আগে গোপনে জালাল হালদারের ছেলে রুবেল হালদার তার চাচা মোবারক হালদারের জমি কিনে তা রেজিস্ট্রি করেন। এ খবর জানতে পেরে বুধবার রাতে ভাতিজা রুবেল হালদারের বাড়িতে যান কাদির হালদার ও তার ২ ছেলে ফয়সাল হালদার এবং আরিফ হালদার। রাত ১১টার দিকে জমি কেনা নিয়ে চাচা ও ভাতিজাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে লাঠিসোঁটা দিয়ে চাচা কাদির হালদার ও চাচাতো ভাই আরিফ এবং ফয়সালকে পেটায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক কাদির হালদারকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত কাদির হালদারের পুত্রবধূ ফারজানা বেগম বলেন, “জমি কেনা নিয়ে রুবেল হালদারের সঙ্গে আমার শ্বশুরের বিরোধ ছিল। রুবেলরা জমি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে ঝগড়া-ঝাটি করল। আমার স্বামী আরিফ হালদার ও দেবর ফয়সাল হালদারকে পিটিয়ে আহত করল। শ্বশুরকে পিটিয়ে মেরে ফেলল।”
টঙ্গীবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা সোয়েব আলী বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আরিফ হালদার বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন।