রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে সিজারের পর এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শওকত আকবর খান।
এদিকে চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলার কারণে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি নবজাতকের পরিবারের।
পরিবারের দাবি, নবজাতকের শরীরের তিনটি জায়গায় ‘কাটার চিহ্ন’ রয়েছে। যদিও এটিকে কাটার চিহ্ন বলছেন না গাইনি তাহমিনা দেওয়ান।
চিকিৎসকদের দাবি, নবজাতক মায়ের পেটেই আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বেলা ১১টার দিকে অপারেশন থিয়েটার থেকে নবজাতককে পাশের কক্ষে নেওয়া হয়। পরে শোনা যায় শিশুটি মারা গেছে।
এদিকে দুপুর পৌনে ১টার দিকে মৃত নবজাতকের বাবা ও দাদির সঙ্গে প্রায় ১৫ মিনিট বৈঠক করেন হাসপাতালের আরএমও ডা. শওকত আকবর ও গাইনি কনসালট্যান্ট তাহমিনা দেওয়ান। বৈঠক শেষে নবজাতক নিয়ে বের হয়ে যান দাদি ফিরোজা বেগম।
বৈঠক শেষে কোনো ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেবেন কি না, জানতে চাইলে নবজাতকের বাবা সজীব বলেন, “আমরা মামলা করব না।”
ওই নবজাতকের বাবা আরও বলেন, “বুধবার রাতে আমার স্ত্রীকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। বৃহস্পতিবার সকালে অপারেশন করা হয়। কিন্তু অপারেশনের শেষে দিকে বাচ্চার গায়ে কাটার দাগ দেখতে পাই। কিছুক্ষণ পর বাচ্চা মারা যায়। আমরা এটার বিচার চাই।”
তাহমিনা দেওয়ান বলেন, “প্রসূতিকে বুধবার (৩১ আগস্ট) রাতে হাসপাতালে আনা হয়। আমরা নরমাল ডেলিভারির জন্যই চেষ্টা করেছি। কিন্তু সকাল নয়টার দিকে প্রসূতির শরীর থেকে পানির সঙ্গে মলও বের হয়। তখন আমরা জানালাম এটা নরলাম ডেলিভারি করা যাবে না। সিজারিয়ান ডেলিভারি করতে হবে। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় ১০ মিনিটের মধ্যেই আমরা অপারেশনের প্রস্তুতি নিই। কিন্তু অপারেশন শেষে নবজাতক জীবিত থাকলেও কিছুক্ষণ পরে মারা যায়। আমাদের চেষ্টার কমতি ছিল না।”
বাচ্চার গায়ের দাগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তাহমিনা বলেন, “এটি আসলে কাটার দাগ নয়। আমাদের অপারেশনে একধরনের ব্লেড ব্যবহার করা যায়। ব্লেডে কাটা গেলে হালকা কিংবা গভীর ক্ষত তৈরি হবে। আমরা ধারণা করছি, মায়ের পেটে শিশুটি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।”
শওকত আকবর জানান, চিকিৎসকদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না। অনেক চেষ্টা করেও নবজাতককে বাঁচানো গেল না। সিজারের পর থেকেই বাচ্চার অবস্থান ভালো ছিল না।