কুমিল্লায় নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতিকৃতিতে লেপন করা কালি মুছতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন আবদুর রাজ্জাক (৭২) নামের এক বাসদ নেতা।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নগরের নগরের সার্কিট হাউস ও ঈদগাহ মাঠের মোড়ের গোলচত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার আবদুর রাজ্জাক বাসদের কুমিল্লা জেলার সমন্বয়ক। তাকে কুমিল্লা জেনারেল (সদর) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অন্যতম রূপকার বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির প্রতিকৃতি কুমিল্লা নগরের সার্কিট হাউস ও ঈদগাহ মাঠের মোড়ের গোলচত্বরে স্থাপন করা হয়েছিল। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দুষ্কৃতকারীরা নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী ও মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের প্রতিকৃতিতে কালিমা লেপন করে।
চিকিৎসাধীন আবদুর রাজ্জাক বলেন, “শিক্ষার অন্যতম অগ্রদূত নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী। তিনি অসংখ্য স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা মসজিদসহ বহু উপাসনালয়, হাসপাতাল তৈরি করেছেন। জমিদারির সম্পদ জনগণের মধ্যে বিলিয়ে দিয়েছেন। এই মহীয়সী নারী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের প্রতিকৃতির ৫ আগস্টের পরে কে বা কারা কালিমা লেপন করেছিল। বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারেননি। এ জন্য কয়েক দিন ধরেই পরিকল্পনা করছিলাম কালিগুলো মুছে ফেলার।”
আবদুর রাজ্জাক বলেন, আজ সকাল ৮টার দিকে তিনি প্রতিকৃতির কালি মুছতে গেলে যান। এ সময় সেখানে উপস্থিত মানুষজন তাকে এ কাজে সহায়তা করছিলেন। এমন সময় ৭ থেকে ৮ জন দুর্বৃত্ত অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীদের একজন সম্ভবত কোনো রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতা। তিনি উপস্থিত মানুষজনকে ধমক দিয়ে সরিয়ে দেন। এরপর কালি মোছার সময় গোলচত্বর থেকে তাকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন হামলাকারীরা।
আহত এই বাসদ নেতা বলেন, “এক পর্যায়ে হামলাকারীদের নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তি পিস্তলের বাট দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে। এতে মাথা ফেটে রক্ত ঝরতে শুরু করে। তিনি আমাকে বুকে ও পিঠে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দিলেন।”
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, বাসদের ওই নেতা কালি মুছতে গেলে কয়েকজনের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।