ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র কারণে লক্ষ্মীপুরের রামগতি চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের মেঘনা নদীর বিচ্ছিন্ন একটি চরে আটকে পড়া কৃষকদের উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ। চরে প্রায় ১৬০ জন কৃষক আটকা ছিলেন। তারা ওই চরে দলবদ্ধভাবে তরমুজ চাষ করছিলেন।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে ট্রলারে করে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়।
স্থানীয়রা জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র কারণে তারা চরে আটকা পড়েন। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাতে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে তারা নিজেদের উদ্ধারের আকুতি জানান। পরে রামগতির বড়খেরী নৌ-পুলিশের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে উপকূলে নিয়ে আসেন।
বড়খেরী নৌ-পুলিশের ইনচার্জ (পরিদর্শক) ফেরদৌস আহমেদ বলেন, “শনিবার সকালে আটকে পড়া তরমুজ চাষিদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। তারা তাদের নিজ বাড়িতে চলে গেছেন।”
ফেরদৌস আহমেদ আও বলেন, “চরে প্রায় ১৬০ জন কৃষক এবং কৃষিশ্রমিক ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন কৃষক ৯৯৯-এ কল দেন। পরে আমরা তাদের উদ্ধারের দায়িত্ব নিই।”
আটকে পড়া কৃষক হাসান আহমেদ বলেন, “আমরা চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের একটি চরে তরমুজ চাষ করতে যাই। আমরা সবাই নোয়াখালীর চরজব্বার এলাকার বাসিন্দা। চরে আমরা ১৭ কানি জমিতে আবাদ শুরু করি। আমাদের মতো আরও কয়েকজন চাষি আছেন, তাদের সঙ্গে শ্রমিকও ছিল। দেড়শর বেশি লোকজন হবে। আমরা চরে তাঁবু টাঙিয়ে থাকতাম।”
হাসান আহমেদ আরও বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে আমাদের কাছে আগাম কোনো খবর ছিল না। তাই আমরা চরের মধ্যেই ছিলাম। ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। এতজন লোকের জানমাল নিয়ে শঙ্কিত ছিলাম। রাতের দিকে জোয়ারের পানি উঠে পুরো চর ডুবে যায়। উপকূলে যাওয়ার জন্য কোনো ট্রলার পাচ্ছিলাম না। তাই সন্ধ্যার দিকে আমাদের উদ্ধারের জন্য ৯৯৯-এ কল দিয়েছি। রাতে চরেই ছিলাম। একটু উঁচু স্থান ছিল, সেখানে হাঁটুপানিতে কেউ দাঁড়িয়ে ছিল, আবার কেউ গরু-মহিষের রাখালদের টংঘরে অবস্থান নিয়েছিলেন। ভোরে নৌ-পুলিশের সদস্যরা এসে আমাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। আমরা সবাই এখন নিরাপদে আছি।”