• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নওগাঁর আম বাজারে আসবে ২২ মে


নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২৪, ০১:৪৬ পিএম
নওগাঁর আম বাজারে আসবে ২২ মে

আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিতি পাওয়া নওগাঁ জেলায় এবার চলতি মাসের ২২ তারিখ থেকে আম সংগ্রহ শুরু হবে। ওই দিন থেকে কেবল গুটি জাতের আম সংগ্রহ করা যাবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গুটি ২২ মে, গোপালভোগ ৩০ মে, ক্ষীরশাপাত ও হিমসাগর ২ জুন, নাক ফজলি ৫ জুন, ল্যাংড়া ও হাড়িভাঙা ১০ জুন, আম্রপালি ২০ জুন, ফজলি ২৫ জুন এবং আশ্বিনা, বারি-৪, বারি-১১, গৌড়মতি, কাটিমন ১০ জুলাই থেকে সংগ্রহ শুরু হবে।

এ বছর ৩৩ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আম বাগান গড়ে উঠেছে। যা থেকে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টন আম উৎপাদনের আশা। ব্যানানা ম্যাংগো, মিয়াজাকি, কাটিমন, গৌড়মতি, বারি আমচাসহ দেশি-বিদেশ মিলে প্রায় ১৬ জাতের আম চাষ হয়েছে।

জাত ভেদে আম বাগানের পরিমাণ নাক ফজলি ৮৯৮ হেক্টর, ল্যাংড়া ১ হাজার ৬১৫ হেক্টর, ফজলি ১ হাজার ৪০৮ হেক্টর, গোপালভোগ ৬১০ হেক্টর, ক্ষীরশাপাত ১ হাজার ৪৭ হেক্টর, বারি-৪ আম ২ হাজার ৪০২ হেক্টর, বারি-১১ আম ৪২ দশমিক ৫০ হেক্টর, মল্লিকা ৩৭ হেক্টর, কাটিমন ১৫৪ দশমিক ৫০ হেক্টর, গৌড়মতি ১৪৩ দশমিক ২৫ হেক্টর, ভাড়িভাঙা ৪১ দশমিক ৭৫ হেক্টর, ব্যানানা ম্যাংগো ১০৭ দশমিক ৫০ হেক্টর, আশ্বিনা ২ হাজার ৩২২ দশমিক ৫০ হেক্টর, কুমড়াজালি ১৩ হেক্টর, গুটি স্থানীয় ৬০৭ হেক্টর এবং আম্রপালি ১৮ হাজার ৪২২ হেক্টর। জেলা যে পরিমাণ আম বাগান রয়েছে তার মধ্যে আম্রপালি ৬০ দশমিক ৮০ শতাংশ।

এ বছরের শুরুতে তীব্র শীত থাকায় ১৫-২০ দিন দেরিতে মুকুল আসে। এ ছাড়া প্রচণ্ড খরা ও তাবদাহ বিরাজ করছে। আমের মৌসুমে এ পর্যন্ত দুইবার বৃষ্টি হওয়ায় চাষিদের ব্যাপক উপকার হয়েছে। বরেন্দ্র এলাকা হওয়ায় পানির স্বল্পতা রয়েছে। যেসব বাগান সেচের আওতায় সেগুলো সেচ দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

আম চাষিরা বলছেন, এ বছর প্রচণ্ড তাপদাহ ও খরায় অনেক আমের গুটি ঝরে পড়েছে। এতে গাছে কম পরিমাণ আম রয়েছে। তবে যেটুকু আম রয়েছে আকারেও বড়। এ বছর গাছে আম কিছুটা কম থাকলে গত বছরের তুলনায় ভাল দাম পাওয়া আশা চাষিদের।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আম চাষিরা বাগানের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এবার আম উৎপাদনের পাশাপাশি ভাল দাম পাওয়ার আশা। স্বাদ ও দাম ভাল পাওয়ায় আম্রপালি, বারি ও ব্যানানা জাতের বাগানের পরিমাণ বাড়ছে। রপ্তানি পরিসর বাড়াতে উত্তম কৃষি চর্চার মাধ্যমে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে আমের ফুড প্রসেসিং প্রক্রিয়াজাত করতে কৃষি বিভাগ কাজ করছে।

Link copied!