নওগাঁর চৌবাড়িয়া হাটে সুগন্ধি আতপ ধানের কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় হতাশ কৃষকরা। তাদের অভিযোগ, সিন্ডিকেট করে ব্যবসায়ীরা সুগন্ধি জাতের ধানের দাম মণ প্রতি দেড়শ টাকা কমিয়েছেন। এদিকে আড়তদাররা বলছেন, সরকারের নজরদারি না থাকায় বাজার ব্যবস্থাপনা ব্যবসায়ীদের দখলে থাকে।
তবে গত সপ্তাহ থেকে এ হাটে সুগন্ধি জাতের ধান মণ প্রতি দেড়শ টাকার কম দামে ধান কিনছেন মিলাররা। দাম কম হওয়ার পেছনে ব্যবসায়ীদের দুষছেন কৃষকরা।
কৃষক নিয়ামতপুর বরিয়া গ্রামের আতাউর রহমান, জব্বার হোসেন ও মান্দা উপজেলার আইওর পাড়া গ্রামের রেজাউল ইসলাম, নজরুল ইসলাম ও শামিম হোসেন বলেন, গত সপ্তাহে হাটে থেকে চলতি সপ্তাহে ধানের দাম দেড়শ টাকা কম। তবে মোটা ধান স্বর্ণা-৫ মণপ্রতি বেড়েছে ১শ ৬০ টাকা, মিনিকেট মণপ্রতি ১শ ৫০ টাকা। বাজারে স্বর্ণা-৫ ধান ১ হাজার ২৬০ টাকা ও জিরা মণপ্রতি ১ হাজার ৬৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া সুগন্ধি আতপ মণপ্রতি ২ হাজার ৩৫০ টাকা ও ব্রিধান-৪৯ মণপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩৭০ টাকায়, ৫৬ মণপ্রতি ১ হাজার ৪৪০ টাকা, বিনা সেভেন মণপ্রতি ১ হাজার ৫০০ টাকা, পঁচাত্তর মণপ্রতি ১ হাজার ২৫০ টাকা।
চৌবাড়িয়া হাট ধান আড়ৎ সমিতির সভাপতি আসাদ আলি ও সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ হোসেন জানান,
সপ্তাহে শুক্রবার ও সোমবার এ হাটে ৩ থেকে ৪ হাজার মণ ধান বেচাকেনা হয়। তবে সরকারের নজরদারি না থাকায় বাজার ব্যবস্থাপনা ব্যবসায়ীদের দখলে থাকে। এছাড়া দাম কমার নানা অজুহাত দেখান ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা চাউল কল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফুরাদ চকদার বলেন, মোটা ধানের দাম বাড়তির দিকে। গত সপ্তাহে দাম ১ হাজার ৭০ থেকে ১ হাজার ৮০ টাকা থাকলেও এখন ১শ থেকে দেড়শ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে মৌসুম শেষ দিকে হওয়ায় ধানের আমদানি কম।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, গত আমন মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৯৮ হাজার হেক্টর জমিতে সুগন্ধি জাতের ধানের আবাদ হয়। যা থেকে সাড়ে ৯ লাখ মেট্রিক টন ধান কৃষকের ঘরে ওঠে।