হতদরিদ্রদের জন্য সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির উপকারভোগীদের তালিকায় মৃত ব্যক্তিদের নামে কার্ড বরাদ্দ দিয়ে চাল উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের পোটল বাজারের ডিলার রাশেদ মাহমুদের মাধ্যমে ৫০১টি কার্ডের বিপরীতে প্রতি কার্ডে মাসে ৩০ কেজি করে ২ মাসের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।
রাশেদ মাহমুদ বলেন, “আমার এখানে প্রায় ৭/৮টি মৃত ব্যক্তির কার্ড এখনো রয়েছে। তারা হলেন পারপাচিলের মৃত আমির হোসেন (কার্ড নম্বর ৭০), মৃত হাতেম আলী খান (কার্ড নম্বর ২৬১), মৃত বাচ্চু শেখ (কার্ড নম্বর ২৬৭), পোটল ছোনগাছার মৃত তোতা মিয়া (কার্ড নম্বর ২৯৯), ডিগ্রি পাড়ার মৃত আব্দুল মমিন (কার্ড নম্বর ৩৫২), পাচ ঠাকুরীর মৃত আব্দুল কাদের (কার্ড নম্বর ৩৬৩) এবং বাগবাটি ইউনিয়নের চরখাতা গ্রামের মৃত আরিফ হোসেন (কার্ড নম্বর ১২৭২)।
এ ব্যাপারে ছোনগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, “এই তালিকাগুলো আমার আগের চেয়ারম্যান- মেম্বাররা করেছেন। অনেক পূর্বের তালিকা অনুযায়ী কার্যক্রম করা হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে অনেকে মারা গেছেন। কোনো সংশোধন করা হয়নি। তাই মৃত ব্যক্তিদের নামে কার্ড রয়েছে।”
উল্লাপাড়ার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ডিলার জাহিদ হোসেন বলেন, “আমার আওতায় ১০/১২টি মৃত ব্যক্তির কার্ড ছিল। সেগুলো সংশোধন করে মৃত ব্যক্তির স্ত্রী বা ছেলে-মেয়েদের নামে করা হয়েছে।”
জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের ১৬ তারিখ থেকে জেলার ৯ উপজেলায় ২৬৭টি ডিলারের মাধ্যমে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩২৭টি কার্ডের পরিবারকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় এনে প্রতি মাসে কার্ডপ্রতি ৩০ কেজি করে ২ মাসের ৬০ কেজি চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ৩১ শে আগস্ট পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, “এই কার্ডের তালিকাগুলো অনেক আগে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা করেছেন। এর মধ্যে অনেকে মারা গেছেন। কিন্তু সেগুলো সংশোধন করা হয়নি। তাই তালিকাগুলোতে মৃত ব্যক্তিদের নাম রয়ে গেছে এবং একটু ত্রুটি রয়েছে।”
এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা এস এম সাইফুল ইসলাম বলেন, “খাদ্য বিভাগের কাজ শুধু খাদ্য সংগ্রহ ও সরবরাহ করা। তালিকার ব্যাপারে খাদ্য বিভাগের কোনো হাত নেই।”