মিয়ানমারের চলমান যুদ্ধের জেরে এখন পর্যন্ত বিজিপির ৬৮ জন সদস্য অস্ত্রসহ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিজিবি সদর দপ্তর জানিয়েছে, মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে।
আহত ১৫ জনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আহত বিজিপি সদস্যদের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যান বিজিবি সদস্যরা।
বিজিবির কক্সবাজারের ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল আশরোকি বলেন, “তুমুল যুদ্ধের মধ্যে কয়েকজন বিজিপি সদস্য প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করেছেন। তাদের অস্ত্র ও গুলি বিজিবির কাছে জমা রাখা আছে। তাদের বিষয়ে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বিজিপির আরও বেশকিছু সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য সীমান্তের শূন্যরেখায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যরা জানান, সীমান্তের খুব কাছাকাছি এলাকায় তুমুল লড়াই চলছে। ওখানে বিস্ফোরিত গোলা-বারুদের শব্দের কারণে কাঁপছে সীমান্ত এলাকা।
পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক বাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সঙ্গে আরাকান আর্মির (এএ) ভয়াবহ যুদ্ধের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশে। সীমান্তবর্তী জেলা কক্সবাজার ও বান্দরবানে রাখাইন থেকে গুলি ও মর্টার শেল এসে পড়ছে। এতে রবিবার দুজন বাংলাদেশি আহত এবং তিনটি বসতবাড়ি পুড়ে গেছে।
রাখাইন রাজ্যের (আরাকান) সার্বভৌমত্বের জন্য এই যুদ্ধ করছে বলে দাবি আরাকান আর্মির। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) যোদ্ধারাও।