বিয়ের জন্য বারবার পরিবারকে বলার পর বিয়ে না দেওয়ায় মাকে গলা কেটে হত্যা করেছেন মো. রাসেল (২৭) নামের এক যুবক। এরপর মাকে হত্যার ঘটনা বাবাকে ফোন করে জানান তিনি।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়।
এর আগে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে এমন ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের খান বাড়িতে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। নিহত ওই নারীর নাম রানু বেগম (৫৭)। তিনি ইছাপুরা গ্রামের আতর খানের স্ত্রী।
হত্যাকাণ্ডের মাত্র ৪ ঘণ্টার মধ্যে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ রাসেলকে পৌর এলাকার কেরোয়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে রাসেলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কাঁচি, রক্তমাখা লুঙ্গি ও শার্ট উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শনিবার ফরিদগঞ্জ থানায় ছেলে মো. রাসেলকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন বাবা আতর খান।
পুলিশ জানায়, দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট রাসেল। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই বিয়ে করার জন্য পরিবারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু ছেলে বেকার হওয়ায় তার কথায় কেউ কর্ণপাত করেননি। বিয়ের দাবি পূরণ না করায় শুক্রবার দুপুরে রাসেল তার মাকে একা পেয়ে ধারাল কাঁচি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান। পরে বাবাকে ফোন করে মাকে কুপিয়ে ঘরে ফেলে আসার কথা জানান রাসেল। এর আগে রাসেল তার বাবা আতর খানকেও পিটিয়েছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী, ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলামসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।