• ঢাকা
  • বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৬

সুদের টাকা পরিশোধ করতে অটোচালককে হত্যা


নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৫, ২০২৫, ০২:৫৮ পিএম
সুদের টাকা পরিশোধ করতে অটোচালককে হত্যা

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক বাবর হোসেন (১৮) হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাকে আটক করে রহস্য উদঘাটন করেছে র‌্যাব-১১। সুদের টাকা পরিশোধ করতে অটোচালককে হত্যা করে প্রতিবেশি মনিরুল ইসলাম মামুন (৩০)।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে র‌্যাব-১১ এর নোয়াখালীর কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু এ তথ্য জানিয়েছেন।  

এর আগে, সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাইজদী পেট্রল পাম্প এলাকা থেকে মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে বাবরের ব্যবহৃত মোবাইল ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি গেঞ্জি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো নিহত বাবরের ব্যবহৃত অটোরিকশাটির সন্ধান পাওয়া যায়নি।

গ্রেপ্তার মনিরুল ইসলাম মামুন নোয়াখালী পৌরসভার মধ্যম করিমপুর এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে। নিহত বাবর একই এলাকার মো. সেলিমের ছেলে।

র‌্যাব জানায়, গত ৯ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভাড়া নিয়ে যাওয়ার পর থেকে আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক বাবরের। এরপর থেকে স্বজনেরা তার মোবাইলও বন্ধ পাচ্ছিলেন। পরদিন (১০ এপ্রিল) দুপুরে নোয়াখালী সদর উপজেলার কোম্পানিঘাট-সংলগ্ন স্লুইসগেট এলাকার একটি কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও অটোরিকশাটি নিখোঁজ ছিল। পরবর্তীতে এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে র্যাবের একাধিক টিম কাজ করে।

র‌্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তারের পর হত্যাকারী মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে মামুন জানায়, এক ব্যক্তির কাছ থেকে ধার নেওয়া ৪৫ হাজার টাকার সুদে-আসলে মিলিয়ে তাকে ৯০ হাজার টাকা দিতে হবে। সেজন্য পরিচিত বাবরের অটোরিকশা বিক্রি করে টাকা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মামুন।

পরিকল্পনা অনুযায়ী বাবরকে দত্তেরহাট এসে ফ্রুটিকা জুসের সঙ্গে কৌশলে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে বিনোদপুর ইউনিয়নের জালিয়াল গ্রামের নির্জন বাগানে অটোরিকশা রেখে বাবরকে নিয়ে প্রথমে সোনাপুর যান। তারপর সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে পূর্বচর উড়িয়ার স্লুইসগেট সংলগ্ন কৃষি অফিসের সামনে ডান দিকে নির্জন স্থানের সবজি বাগানে নিয়ে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে দুর্বল করে বাবরকে তার গেঞ্জি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।

নোয়াখালীর কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন, “ভিকটিমের স্যান্ডেল বাঁশ ঝাড়ের পাশে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গেঞ্জিটি পাশের কলাবাগানে রেখে পালিয়ে যায়। শুধু টাকার জন্যই মামুন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুধারাম মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!