পাঁচ বছর পর সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে বিউটি খাতুন নামের এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন।
সোমবার (২৯ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিরাজগঞ্জ পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার রেজাউল করিম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পুলিশ সুপার বলেন, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ব্রাহ্মণগ্রামের সাচ্চু মিয়ার মেয়ে বিউটি খাতুনের বিয়ে হয় ২০১৪ সালে। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পারিবারিকভাবে বিউটি তার স্বামী তালাক দেন। এরপর থেকে বিউটি তার বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী ওমর ফারুকের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে বিউটির। ওমর ফারুক বিউটিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। বিউটির বাবা সাচ্চু মিয়া প্রতিবেশী স্বপন ব্যাপারীকে জানান, ওমর ফারুক তার মেয়েকে উত্যক্ত করেন। স্বপন ব্যাপারী এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি ওমর ফারুককে ডেকে এনে শাসন করেন।
এর মধ্যে স্বপন ব্যাপারী বিউটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ও তারা শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেন। এক পর্যায়ে সম্পর্কে বিউটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে গেলে স্বপনকে বিয়ে জন্য চাপ দেন। স্বপন তাতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি ওমর ফারুক ও বিউটির ছোট খালাকে নিয়ে বিউটিকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ২০১৮ সালের ১৩ মে রাতে স্বপন লোকজন নিয়ে বিউটির ঘরে প্রবেশ করে হাত, পা, মাথা চেপে ধরে বালিশ চাপা দিয়ে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় বিউটির বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। বিউটির বাবার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। তদন্ত চলাকালে ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার জনকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।