• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেনীতে হাসিনা-কাদেরসহ ৬৬২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা


ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৪, ০২:৩৯ পিএম
ফেনীতে হাসিনা-কাদেরসহ ৬৬২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

ফেনীর মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গুলিতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এছাড়া মামলায় দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ১৬২ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ফেনী মডেল থানায় মামলাটি করা হয়। আন্দোলনের সময় নিহত শিক্ষার্থী মাহবুবুল হাসান মাসুমের (২৫) ভাই মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মহিপালে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এ নিয়ে পৃথক সাতটি হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ ২ হাজার ৫৮৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

নিহত মাসুম সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া এলাকার নোমান হাসানের ছেলে। তিনি ছাগলনাইয়া আবদুল হক চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ থেকে অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফলপ্রার্থী ছিলেন।

মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফেনী-৩ সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করতে প্ররোচনা, উস্কানি ও নির্দেশনার অভিযোগে তাদের আসামি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় দায়েরকৃত পৃথক সাতটি মামলায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে ৪ আগস্ট অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপাল এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন ছাত্র-জনতা। এসময় শহরের ট্রাংক রোডে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দুপুর দুইটার দিকে মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মহিপাল ফ্লাইওভারের দিকে এগোতে থাকলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এ সময় মুহুর্মুহু গুলি, ককটেল বিস্ফোরণে চারপাশ প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত থেমে থেমে সেখানে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে মহিপালের পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হওয়া ছাড়াও ইটপাটকেলের আঘাতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, পথচারী ও সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

Link copied!