টানা বর্ষণে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির বিভিন্ন সড়কে পাহাড়ধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই সড়কগুলো রক্ষার কাজ ও সংস্কারে প্রায় ১৪ কোটি টাকা প্রয়োজন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তথ্যমতে, এলজিইডির আওতাধীন ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সড়কগুলো কোনোরকম মেরামত করে যান চলাচলে সচল রাখা হয়েছে। সড়কগুলো মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে ব্যয় হতে পারে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের রাঙ্গামাটি নির্বাহী প্রকৌশলী আহামদ শফি জানান, অতি বর্ষণে রাঙ্গামাটি জেলার এলজিইডির আওতায় গ্রামীণ বেশ কিছু সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়কগুলো স্থায়ীভাবে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা লাগবে।
অপরদিকে রাঙ্গামাটি সড়ক জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পাহাড়ধসে ঘাগড়া-চন্দ্রঘোনা-বাঙ্গালহালিয়া-বান্দরবান সড়কে ২১টি, রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কে ১০টি, বাঙ্গালহালিয়া-রাজস্থলী সড়কে ৭টি, রাঙ্গামাটি মানিকছড়ি-মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কে ৩টি, বগাছড়ি-নানিয়ারচর সড়কে ২টি, রানীরহাট- কাউখালী সড়কে একটিসহ ৪৪টি পয়েন্টে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সড়কগুলো মেরামত ও সড়ক রক্ষা কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৯ কোটি টাকা।
রাঙ্গামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর তালিকা আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এই সড়কগুলো মেরামতে ব্যয় হবে প্রায় ৯ কোটি টাকা।
এদিকে ভারী বর্ষণে রাঙ্গামাটির ১০ উপজেলায় ৭০৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৭১টি বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলায় বিদ্যালয় রয়েছে রাঙ্গামাটি সদরে ৮টি, কাউখালীতে ৪টি, নানিয়ারচরে ৪টি, বরকলে ৭টি, জুরাছড়িতে ১১টি, বাঘাইছড়িতে ১৪টি, কাপ্তাইয়ে ৪টি, রাজস্থলীতে ১০টি ও বিলাইছড়ি উপজেলায় ৯টি। এসব বিদ্যালয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও সীমিত আকারে পাঠদান চালু রাখা হয়েছে।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “টানা বৃষ্টিপাতে রাঙ্গামাটি জেলার ৭০৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়গুলো মেরামতের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।”