নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। তাৎক্ষণিক নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। আহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আলী। গুরুতর অবস্থায় তাকে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (১৭ মার্চ) রাত দেড়টার দিকে উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের বাঘরী গ্রামের চকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত একটার দিকে বাঘরী বিলে কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তিকে দেখা যায়। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় প্রথমে মসজিদের মাইকে ‘ডাকাত পড়েছে’ বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। গ্রামবাসী তখন চারদিক থেকে তাদের ঘিরে ফেলেন। তারা পালানোর জন্য বিলের পানিতে ঝাঁপ দেন।
পরে স্থানীয় লোকজন কয়েকজনকে আটক করে পিটুনি দেন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে আরও একজনের মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল) শেখ বিল্লাল হোসাইন।
শেখ বিল্লাল হোসাইন বলেন, “নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। মরদেহগুলো নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে বাঘরী গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
শেখ বিল্লাল হোসাইন আরও বলেন, “আহত ব্যক্তি ডাকাত দলের সদস্য বলে স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তারা সাতজন বিলের পাড়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেখানে আরও তিনজনের আসার কথা ছিল। এ সময় গ্রামবাসী টের পেয়ে তাদের পিটুনি দেন।”
এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।