সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় মোবাইল চার্জ দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার বর্ণি ও কাঁঠালবাড়ী গ্রামবাসীর মধ্যে প্রথমে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানান কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান। এরপর রোববার সকাল থেকে দুই পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ বাঁধে।
সংঘর্ষ চলাকালে উপজেলা সদর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়ক দিয়ে সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে আসা-যাওয়ার গাড়িগুলো আটকা পড়ে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বেলা ২টার পর সংঘর্ষ থামলেও রাস্তাঘাটে ইটপাটকেলের স্তূপ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার প্রভাকর রায় বলেন, মারামারির ঘটনায় আহত হয়ে রোববার বেলা ৩টা পর্যন্ত ৬০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। আর গুরুতর আহত তিনজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি উজায়ের আল মাহমুদ বলেন, শনিবার বিকালে বর্ণি গ্রামের এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইলে চার্জ দেওয়া নিয়ে কাঁঠালবাড়ী গ্রামের এক ব্যক্তির বাক্বিতণ্ডা হয়। সেখানে কাঁঠালবাড়ী গ্রামের এক ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনায় বর্ণি গ্রামের লোকজন সড়কে গাড়ি আটকে অবরোধ করেন। পরে থানা সদরে কোম্পানীগঞ্জ, বর্ণি ও কাঁঠালবাড়ী তিন গ্রামের লোকজনের মধ্যে দেশি অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয় এবং পরে তা সংঘর্ষে গড়ায়। সংঘর্ষ চলে রাত ৯টা পর্যন্ত।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার সকাল ১০টার দিকে বর্ণি গ্রামের বাসিন্দারা মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কাঁঠালবাড়ী গ্রামের দিকে এগিয়ে যান। পরে উপজেলা সদরে দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হন। বেলা ২টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে।