সাতক্ষীরার শ্যামনগরে টর্নেডোর আঘাতে অর্ধশতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। উপড়ে পড়েছে গাছপালা ও বিদ্যুতিক খুটি, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলের। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে অসংখ্য পরিবার।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের কালিঞ্চি, গোলাখালী, কৈখালী, পূর্ব-কৈখালী, বৈশখালী, পশ্চিম-কৈখালী, কাঠামারী ও নিদয়া ও মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের টেংরাখালী ও পার্শ্বেখালী গ্রামে আকস্মিক টর্নেডোয় আঘাতে এ ক্ষয়ক্ষতি হয়।
স্থানীয়রা জানান, সুন্দরবনের দিক হতে আসা টর্নেডো কালিঞ্চি ও গোলাখালী এলাকায় আঁচড়ে পড়ে। মাত্র এক মিনিট স্থায়ীত্বের টর্নেডোয় আঘাতে অসংখ্য ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। টর্নেডোর পরপরই বৃষ্টি নামার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন পাশ্ববর্তী এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে।
রমজাননগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আল মামুন জানান, হঠাৎ কালিঞ্চি ও গোলাখালী গ্রামে টর্নেডো আঘাত হানে এতে ওই ৫০ থেকে ৬০ টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরমধ্যে ২০-২২টি ঘর সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়েছে। বাকিগুলো আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম জানান, আকস্মিক ঝড়ে তার ইউনিয়নের পূর্ব-কৈখালী, বৈশখালী, পশ্চিম-কৈখালী, কাঠামারী ও নিদয়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ৫০টির মত ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া আরও শতাধিক ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান অসীম মৃধা জানান, ইউনিয়নের টেংরাখালী ও পার্শ্বেখালি গ্রামে টর্নেডোয় আঘাত হেনেছে। এতে ১০ থেকে ১২টি কাঁচা ঘর একেবারে বিধ্বস্ত হয়েছে। ১৫-২০টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আক্তার হোসেন জানান, হঠাৎ টর্নেডোর আঘাতে কয়েকটি গ্রামের বেশ কিছু পরিবারের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।