রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনায় তিন পার্বত্য জেলায় ৭২ ঘণ্টার অবরোধের কারণে সাজেকে ভ্রমণে গিয়ে আটকা পড়েছেন ৮ শতাধিক পর্যটক।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে তিন পার্বত্য জেলায় ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। একইসঙ্গে রাঙ্গামাটিতে সংঘর্ষের ঘটনায় বাস, সিএনজি অটোরিকশা, ট্রাক ভাঙচুর ও শ্রমিক আহতের প্রতিবাদে মালিক শ্রমিক যৌথ বিবৃতিতে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়।
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি জিপ গাড়ির সমিতির লাইনম্যান মো. ইয়াছিন আরাফত বলেন, “খাগড়াছড়ির পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) ১১৫টি জিপ গাড়ি ও ৫০-৫৫টির মতো সিএনজি মাহেন্দ্র করে সাজেক প্রবেশ করে। যেখানে প্রায় ৮ শতাধিক পর্যটক ছিল।”
ইয়াছিন আরাফত আরও বলেন, “অবরোধের কারণে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে ইউপিডিএফ। শুনেছি, বেইলি ব্রিজগুলোর পাটাতন খুলে নেওয়া হয়েছে। এমন অবস্থায় পর্যটকদের ও গাড়ির নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় সমিতির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাজেক থেকে কোনো গাড়ি ছেড়ে আসেনি এবং প্রবেশ করেনি।”
পরিস্থিতি উন্নতি হলে পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানান সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেব বর্মণ। তিনি বলেন, “অবরোধের কারণে সাজেকে ৮ শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। আমরাও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।”
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার বলেন, “অবরোধের কারণে ঝুঁকি থাকায় কোনো গাড়ি আজ (শনিবার) ছাড়া হয়নি। সাজেকে পর্যটক আটকা আছেন। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এর আগে খাগড়াছড়ি জেলা সদরে মোটরসাইকেল চুরির একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পিটুনিতে মো. মামুন নামে এক যুবক প্রাণ হারান। এতে দিঘীনালায় সহিংসতার ঘটনা ঘটে। আর খাগড়াছড়ির সহিংসতার প্রতিবাদে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হলে সেই মিছিলে হামলার অভিযোগে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সহিংসতার সূত্রপাত হয়। পরে সেই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে পুরো শহরে। এতে হতাহতের সৃষ্টি হয়।