নওগাঁয় গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে প্রকার ভেদে কেজিতে ১০-১২ টাকা। এতে স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতা সাধারণের মাঝে।
স্থানীয় পাইকারি ও খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতারা বলছেন, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজের আশানুরূপ উৎপাদন ও ফলন ভালো হওয়ায় দাম কমেছে।
সোমবার (১০ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে নওগাঁ পৌর পাইকারি ও খুচরা সবজি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, রমজান মাস শুরুর দিকে স্থানীয় হাটবাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে ২৫-৩০ টাকা কেজি করে।
পেঁয়াজ কিনতে আসা এনজিও কর্মী হাসান মাহমুদ বলেন, “প্রতি বছর রমজানের শুরুতে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে পেঁয়াজের দামও বেড়ে যায়। কিন্তু এ বছর তার উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির চেয়ে কমে এসেছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ স্বস্তিতে কেনাকাটা করতে পারছেন।”
নওগাঁ কে ডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহিদ ফেরদৌস বলেন, “রমজান মাসে ইফতার তৈরিতে পেঁয়াজের বেশি প্রয়োজন হয়। এজন্য দামও বেড়ে যায়। কিন্তু এ বছর দাম কমে এসেছে। এতে ভালো মানের ইফতার সামগ্রী তৈরি এবং বিভিন্ন রান্নার কাজে অতিরিক্ত পেঁয়াজ ব্যবহার করা যাচ্ছে।”
পৌর শহরের পেঁয়াজের পাইকারি ব্যবসায়ী আজাদ ও রহিম হোসেন বলেন, “ফরিদপুর, পাবনা, কুষ্টিয়া, নাটোরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পেঁয়াজ পাইকারি দামে কিনে এনে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছেন। এতে দাম কমে এসেছে। দাম কমে আসায় বেচাবিক্রি বেড়ে গেছে কয়েকগুণ বেশি। এতে লাভ হচ্ছে আশানুরূপ। চলতি মৌসুমে দেশের পেঁয়াজ উৎপাদিত অঞ্চলে ফলন ভালো হওয়ায় স্থানীয় বাজারে দাম কমে এসেছে। এসে স্বস্তি ফিরেছে নিম্ন আয়ের মানুষের।”
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল বলেন, “নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১১টি উপজেলার বাজার তদারকি অব্যাহত রাখা হয়েছে।”