সেন্টমার্টিন গিয়ে নিখোঁজ হওয়া নারী বিসিএস ক্যাডার মাহমুদা আক্তার হ্যাপীকে চার দিন পর কক্সবাজার সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে জীবিত উদ্ধার করেছে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পুলিশ তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকার এ আর কটেজ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে ৭১ জনের পর্যটকের একটি দল টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিনে বেড়াতে যায়। সেখানে মাহমুদা আক্তার হ্যাপিও ছিলেন। তারা দ্বীপটির হোটেল সি ভিউসহ কয়েকটি রিসোর্টে ওঠেন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে মাহমুদা আক্তার হ্যাপি বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার কথা বলে রিসোর্ট থেকে বের হন। বিকেল পর্যন্ত তিনি রিসোর্টে ফেরেননি। পরে রিসোর্টের সঙ্গীরা মোবাইলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বন্ধুর সঙ্গে আছেন বলে তথ্য দেন। কিন্তু এর ঘন্টাখানেক পর তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে নিখোঁজ নারী পর্যটকের সঙ্গে রিসোর্টের কক্ষে অবস্থানকারী বান্ধবী সুমা খানম টেকনাফ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
ওসি ওসমান গণি বলেন, জিডির সূত্র ধরে হ্যাপির ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি ট্র্যাকিং করে বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকার এ আর কটেজ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার মাহমুদার বরাত দিয়ে ওসি বলেন, ওই দিন হ্যাপি সেন্টমার্টিন দ্বীপের সৈকতে গোসল করতে নেমেছিলেন। পানিতে ভেসে গেলে কিছু জেলে তাকে উদ্ধার করে শাহপরীর দ্বীপ নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে একটি টমটমে করে টেকনাফ হয়ে কক্সবাজার চলে আসেন।
মাহমুদা আক্তার হ্যাপি ৪১ তম বিসিএস ক্যাডারেরর সুপারিশপ্রাপ্ত। তাকে বনবিভাগে পদায়ন করা হয়েছে। তিনি টাঙ্গাইল জেলার বাসিন্দা।