বিএনপির সিলেট জেলা শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের এক বছর পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই কমিটিতে রাখা হয়েছে এম ইলিয়াস আলীকে। যিনি ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে ‘নিখোঁজ’ হয়েছেন। সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী ‘নিখোঁজ’ হওয়ার সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
রোববার (১৯ মার্চ) রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কমিটির অনুমোদন দেন।
দেখা গেছে, সিলেট জেলা বিএনপির ওই কমিটিতে ১ম সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে এম. ইলিয়াস আলীকে। যিনি ১১ বছর আগে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন। ইলিয়াস আলীকে সরকার গুম করে রেখেছে বলে প্রথম থেকেই বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে।
দীর্ঘ সময় ধরে নিখোঁজ থাকা ইলিয়াস আলীকে কমিটিতে রাখার বিষয়ে সিলেট বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি এম ইলিয়াস আলী বেঁচে আছেন এবং সরকার তাকে জোর করে গুম করে রেখেছে। এই বাস্তবতা বিবেচনা করে আমরা সিলেটের এই জনপ্রিয় নেতাকে কমিটিতে সম্মানিত পদে রেখেছি। আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে আমরা ইালিয়াস আলীকে মুক্ত করে নিয়ে আসবো।”
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকা থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন এম. ইলিয়াস আলী। ইলিয়াসের সঙ্গে তার গাড়িচালক আনসার আলীও ওইদিন নিখোঁজ হন। সেদিন মধ্যরাতে ঢাকার বনানীতে সড়কের পাশ থেকে ইলিয়াস আলীর গাড়ি উদ্ধার করা হয়।
ইলিয়াস আলী নিখোঁজের পর তার সন্ধানের দাবীতে আন্দোলনে নামে বিএনপি। সিলেটে এই দাবীতে হরতাল চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণও হারান দলটির একাধিক কর্মী। এছাড়া ইলিয়াস আলীর সন্ধান চেয়ে বনানী থানায় মামলা করেন তার স্ত্রী তাহসীনা রুশদীর লুনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেও স্বামীর সন্ধানে সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। তবে গত ১১ বছরেও ইলিয়াস আলীর কোনো সন্ধান মিলেনি।