রংপুরে একটি বিপদাপন্ন পরিযায়ী স্টেপি ঈগল উদ্ধার করেছে বন বিভাগের কর্মকর্তা। বর্তমানে পাখিটিকে সুস্থ করতে কাজ করছে সামাজিক বন বিভাগ।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কাউনিয়া উপজেলার বরুয়াহাট এলাকায় পাখিটিকে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা সামাজিক বন বিভাগকে খবর দেন।
জানা যায়, প্রতি বছর শীত মৌসুমে শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে এবং খাবারের খোঁজে সূদূর সাইবেরিয়া থেকে বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি উত্তরের তিস্তা-ব্রহ্মপুত্র নদীতে আসে। শীতকালে তিস্তায় কমপক্ষে ৫০ থেকে ৫৫ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি দেখা যায়। এদের মধ্যে কোনো কোনো প্রজাতির পাখি দীর্ঘ পথ উড়ে আসার কারণে দূর্বল অথবা অসুস্থ হয়ে পড়ে।
সামাজিক বন বিভাগ জানায়, স্টেপি ঈগল দলবদ্ধ থাকতে ভালবাসে। সারা গায়ে গাঢ় খয়েরি রংয়ের পালক থাকলেও লেজের দিকটা একেবারে কালো হয়। পায়ের হলদে রং তাদের আরও আকর্ষনীয় করে তোলে। শীত বাড়তে শুরু করলে এরা মূলত উড়ে আসে রুমানিয়া, দক্ষিণ রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও মঙ্গোলিয়া থেকে।
রংপুর সামাজিক বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার মোশাররফ হোসেন বলেন, পৃথিবীতে স্টেপি ঈগলের সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। এটি বিপদাপন্ন পরিযাীয় পাখি হিসেবে আমাদের এখানে এসেছে। এই পাখিটির যত্ন নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার অন্নদানগর ইউনিয়ন থেকে একটি হিমালয় গৃধিনী শকুন উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার ক্লান্ত ও দুর্বল শকুনটির চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশের একমাত্র শকুন পরিচর্যা কেন্দ্র দিনাজপুরের বীরগঞ্জের সিংড়া ফরেস্টে পাঠিয়েছে ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশের সদস্যরা।