ময়মনসিংহের পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদের পানি এবং সেখানকার মাছের পেটে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি পেয়েছে আন্তরাষ্ট্রীয় একটি গবেষক দল। ফলে মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা। এখনই প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে জলজ প্রাণী ও পরিবেশে মারাত্মক প্রভাবের কথা জানিয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ অংশের ব্রহ্মপুত্র নদের নানা নমুনা নিয়ে দুই বছর ধরে গবেষণা চলে। এতে প্রতি বর্গকিলোমিটার পানিতে ২৫ লক্ষাধিক ভাসমান কণা এবং তলদেশে প্রতি কেজি মাটিতে সাড়ে চার শ কণা মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি উঠে আসে। এটি মাছের পেটেও মাত্রাতিরিক্ত মিলেছে।
ব্রহ্মপুত্রের উজান থেকে ভাটীর দিকেই প্লাস্টিক দূষণের মাত্রা বেশি। এতে নদী-সমুদ্রের পরিবেশ-প্রতিবেশ বিষাক্ত হওয়ার পাশাপাশি মাছের মাধ্যমে মাইক্রোপ্লাস্টিক চলে আসছে মানব শরীরে।
ভারতের আসাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী অধ্যাপক ড. রাজদ্বীপ দত্ত বলেন, ‘আমরা গবেষণার মাধ্যমে জানতে চেষ্টা করেছি যে মানুষ কী পরিমাণ নদীর মাছ গ্রহণ করছে, আর মাছের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মাইক্রোপ্লাস্টিক মানব শরীরে কতটুকু প্রভাব ফেলতে পারে।’
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মাইক্রোপ্লাস্টিকে আক্রান্ত মাছের মাধ্যমে মানবদেহে ছড়িয়ে পড়ছে ক্যানসারসহ জটিল নানা রোগব্যাধি।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. খুরশেদ আলম বলেন, ‘এই মাইক্রোপ্লাস্টিকগুলো আমাদের শ্বাসনালির জন্য, বিশেষ করে অ্যাজমা, সিওপিডি, লাং ক্যানসার, এরকম মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে মানুষ পড়তে পারে। তা ছাড়া এই মাইক্রো পার্টিকেলগুলো আমাদের প্রজনন ক্ষমতার ওপর বিরাট প্রভাব ফেলে।’
সূত্র: দি ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন